মাগুরায় সড়কে একটি পোশা হাতির আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে। মৃত হাতিটি সড়কে পড়ে থাকায় যানজট তৈরি হয়েছে। হাতির ধাক্কায় এক ভ্যানচালক আহত হয়েছে। মৃত হাতি দেখতে উৎসুক লোকজন ভিড় করছেন। হাতির মাহুত পলাতক রয়েছে। 

আজ বুধবার (২৬ মার্চ) মাগুরা-মহম্মদপুর সড়কের শ্যামনগর এলাকায় হাতিটি মারা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মাগুরা-মহম্মদপুর সড়কের শ্যামনগর এলাকায় এক মাহুত পোশা হাতি নিয়ে সড়কে বিভিন্ন যানবাহন ও লোকজনের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিলেন। আকস্মিক হাতিটি অসুস্থ হয়ে সড়কে পড়ে যায়। কিছু সময় পর হাতিটির মৃত্যু হয়। হাতিটি ভ্যানের উপর পড়ায় ভ্যানচালক আহত হয়েছে। তাৎক্ষণিক ভ্যানচালকের পরিচয় জানা যায়নি। মাহুত পলাতক থাকায় হাতির মালিকের পরিচয় জানা যায়নি।

আরো পড়ুন:

উখিয়ায় সংরক্ষিত বন থেকে মৃত হাতি উদ্ধার

চকরিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে নারীর মৃত্যু

মৃত এই হাতি নিয়ে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সড়কে পড়ে থাকায় যানজট তৈরি হচ্ছে। স্থানীয়দের সহায়তায় হাতিটি রাস্তার পাশে সরিয়ে আনা হয়েছে।

মহম্মদপুর সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়াম্যান নওশের আলী জানান, মৃত হাতি নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। মালিক না পাওয়ায় হাতিটির কোনো উপায় হচ্ছে না। 

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান জানান, মৃত হাতির একটা ব্যবস্থা করতে মালিকের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরা-৪ আসনের পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শ্যামনগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শ্যামনগর পৌরসভায় এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাতক্ষীরার ২টি আসনসহ দেশের মোট ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শ্যামনগরে আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে দুই শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় তাঁরা ‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মানি না, মানব না’, ‘শ্যামনগর আসন ছিল, শ্যামনগর থাকবে’, ‘পুনর্গঠন সিদ্ধান্ত বাতিল কর, করতে হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন।

পরে জেসি কমপ্লেক্স চত্বরে পথসভা করে বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের আসন পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সোলায়ামন কবীর, জেলা বিএনপির সদস্য জি এম লিয়াকত আলী, সাবেক চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটির আসন পুনর্বিন্যাস করে প্রাথমিক গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। পুনর্বিন্যাস করার আগে সাতক্ষীরা-৪ আসনটি শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও পাশের কালীগঞ্জ উপজেলার একাংশের ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল। এবার পুনর্বিন্যাস করে শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা-৪ আসন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শ্যামনগর উপজেলার সঙ্গে আশাশুনি উপজেলার সরাসরি যোগযোগ নেই। শ্যামনগর থেকে আশাশুনি যেতে হলে কালীগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে অথবা নৌকায় নদী পার হয়ে যেতে হয়।

অন্যদিকে সাতক্ষীরা-৩ আসনে ছিল আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জ উপজেলার একাংশ ৪টি ইউনিয়ন। পুনর্বিন্যাস করে কালীগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে সংসদীয় আসন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা-৪ আসনের পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল