বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় সিদ্ধিরগঞ্জে দোয়া ও ইফতার মাহফিল করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দল শাখা ।

বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেলে নাসিক ৫নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রগতি সংসদ প্রাঙ্গণে এ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি মাহবুব মুন্সীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মদলের কেন্দ্রীয় সহ সভপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসিক ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি , বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাইবার ইউজার দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক গোলাম মুহাম্মাদ সাদরিল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মদলের ঢাকা উত্তরের সভাপতি মোহাম্মাদ ওবায়দুর রহমান ও কেন্দ্রীয় সদস্য মো: জাকির হোসেনসহ নারায়ণগঞ্জ মহানগর,ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মদলের নেতৃবৃন্দ। ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন ওমরপুর জামে মসজিদের খতিব। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রীপরিষদের সবাই এই দেশে নানা অপকর্ম করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। এদেশের সাধারণ জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করে বাড়ি গাড়ি করেছে। বিএনপি এদেশের জনগণের দল। বিএনপি জনগণের ভালোবাসা নিয়ে এই পর্যন্ত এসেছে এবং আগামী দিনেও জনগণের পাশে থাকবে।

তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে গিয়েছে কিন্তু তার দোসররা এখনও এদেশে রয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন জনগণের ভাগ্য নিয়ে আগামী দিনে আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেই দিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। বিএনপি যে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে আছে, সেই আন্দোলনকে যেন তারা কোন প্রকার বাধাগ্রস্ত না করতে পারে সেই দিকে সকল নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান। এসময় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়াও ইফতার মাহফিলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ম ক ত য দ ধ প রজন ম স দ ধ রগঞ জ থ ন উপস থ ত ছ ল ন ব এনপ র জনগণ র

এছাড়াও পড়ুন:

স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে:

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।  

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ডিএনসিসির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পশ্চিম শেওড়াপাড়া, পশ্চিম কাজীপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৫ কিলোমিটার নর্দমা ও দেড় কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসির সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পটি কবে শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কতা টাকা বরাদ্দ আছে—এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এছাড়া, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ হলে নির্মাণ সামগ্রী কী, সেটা জনগণের জানা দরকার। যখন জনগণ জানবে, তখন তারা জবাবদিহি করতে পারবে।

তিনি বলেন, “আমি গত সপ্তাহে কাউকে না জানিয়ে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে চলমান কাজ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, রাস্তাকে ধরে রাখার জন্য যে ওয়াল (বিশেষ দেয়াল) দেওয়া হয়েছে, সেটার পিলার বানানোর কথা ছিল স্টোন দিয়ে; কিন্তু বানিয়ে রেখেছে ব্রিক দিয়ে। এটা বড় দুর্নীতি। স্থানীয় মানুষ যদি না জানে, কী নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হবে, তাহলে দুর্নীতি করাটা সহজ। তথ্যের যত বেশি আদান-প্রদান হবে, তথ্য যত বেশি পাবলিক করা হবে, জনগণ তত বেশি জবাবদিহি করতে পারবে। আমি ঠিকাদারকে জানিয়ে দিয়েছি, সঠিক নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করলে বিল দেব না। তারা বলেছে, এটা ঠিক করে দেবে।” 

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যার যার এলাকার কাজ তারা বুঝে নেবেন। বুঝে নেওয়ার জন্য যত তথ্য ও সহযোগিতা লাগবে, সেটা আমরা দেব। ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকল্পের সব তথ্য ও ঠিকাদারের ফোন নম্বরসহ দেওয়া থাকবে। স্থানীয় জনগণ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ বুঝে নেবেন। আমরা চাই, সকলের অংশগ্রহণে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় সোসাইটি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতা পাচ্ছি। সবার অংশগ্রহণ বাড়াতে আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়ে গণশুনানি করছি। প্রতি মাসে ফেসবুক লাইভে দেশে-বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সাথে যুক্ত হচ্ছি। ডিএনসিসির সবার ঢাকা অ্যাপ আছে, সেটির পাসওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের দিচ্ছে না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা ৪ কোটি টাকা খরচ করে এই অ্যাপ বানিয়েছে। পাসওয়ার্ড না দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় হকারদের জন্য হাটা যায় না। মানুষের অবাধ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। ঢাকা শহরে মানুষের চলাচলের অধিকার সবার আগে, সেই অধিকার আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। মিরপুর-১০ এর প্রধান সড়কের যত হকার ও অটোরিকশা আছে, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। যারা এ ধরনের ইনফরমাল পেশায় যুক্ত আছেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্যও আমরা প্ল্যাটফর্ম করব। তাদের জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা আমরা তৈরি করব। এই শহরটা সবার, সবাই একসাথে বসবাস করব; কিন্তু অন্যদের কষ্ট না দিয়ে, অন্যের অধিকার নষ্ট না করে। 

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সাথে পুলিশের মতবিনিময়
  • ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিপিবি নেতার সৌজন্য সাক্ষাৎ
  • রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত স্থগিতের দাবি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের
  • ট্রাম্প কানাডাকে ‘ভেঙে ফেলতে’ চেয়েছিলেন
  • পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
  • হামদর্দের গাজার জনগণের প্রতি মানবিক সহায়তা
  • প্রশাসক নিয়োগের বিরুদ্ধে রিট, ইউনিয়ন পরিষদটিতে চার মাস ধরে সব সেবা বন্ধ
  • সংসদে সংরক্ষিত আসন, না তৃণমূল রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ?
  • স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে: