দক্ষিণ এশিয়ার এক্সচেঞ্জগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ (পিএসএক্স)-এর মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

গত ২৭ মার্চ শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে অনুষ্ঠিত এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান দিলশান উইরসেকারা, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অব পাকিস্তান-এর চেয়ারম্যান আকিফ সাইদসহ প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রবিবার (৩০ মার্চ) ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ উপ-মহাব্যবস্থাপক মো.

শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

আইপিওর খসড়া সুপারিশ জমা দিয়েছে পুঁজিবাজার টাস্কফোর্সের

প্যারামাউন্ট সোলারের শেয়ার কিনবে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল

সমঝোতা স্মারকে তিনটি দেশের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর ডিজিটাল রূপান্তরে যৌথ উদ্যোগ, নতুন আর্থিক পণ্য ও বাজার উন্নয়নে এক্সচেঞ্জগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়, বাজার তদারকি এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা কাঠামোর সমন্বয়, মানবসম্পদ উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ, ক্রস-এক্সচেঞ্জ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং নলেজ শেয়ারিং উদ্যোগগুলি সংগঠিত করার বিষয়ে সহযোগিতার অঙ্গীকার প্রদান করা হয়।

এই সমঝোতা স্মারকের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হলো, বিনিয়োগকারীদের প্রবেশাধিকার সম্প্রসারণের জন্য আন্তঃসীমান্ত তালিকাভুক্তির সুযোগ অনুসন্ধান করা, ব্রোকার অংশীদারিত্ব এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগের সুবিধা প্রদান করা।

এই উদ্যোগ সম্পর্কে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘আকারে ছোট হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ব্যতীত অন্যান্য দেশের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর প্রযুক্তিগত এবং প্রক্রিয়াগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এসকল অত্যন্ত সম্ভাবনাময় স্টক এক্সচেঞ্জগুলো কাঙ্ক্ষিত সক্ষমতা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। সম্পদ ও অভিজ্ঞতার পারস্পরিক বিনিময় এবং প্রযুক্তিগত যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে আমাদের স্টক এক্সচেঞ্জগুলো নিজ নিজ দেশে দক্ষ ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠনে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। একত্রে কাজ করে, আমরা আমাদের আর্থিক ইকোসিস্টেমে সমৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের সুযোগ উন্মুক্ত করতে পারব, যা বিনিয়োগকারী এবং অংশীদারদের জন্য সুফল বয়ে আনবে।’’

ডিএসইর চেয়ারম্যান ওই অনুষ্ঠানে ‘Navigating Frontier Capital Markets: How Evolving Market Regulation and Exchanges Foster Efficient Capital Market Development’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। তিনি তার বক্তব্যে ডিএসই, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এবং অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা, ডিএসইর ডিমিউচুয়ালজেশন পরবর্তী অভিজ্ঞতা, পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন।

পরে ডিএসইর প্রতিনিধিরা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অব পাকিস্তান-এর চেয়ারম্যান, কমিশনার, পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি সিস্টেমের সিইও ও সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টির সিইও এবং কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জের সিইও, সিআরও ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন।

বৈঠকে ডিএসইর চেয়ারম্যান বর্তমান কার্যক্রম, রিজিওনাল পণ্যের বাজার উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি নিজস্বভাবে তৈরি, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। উপস্থিত সবাই তার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন করেন এবং একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত রোড শোতে ডিএসইর প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন পরিচালক মো. শাকিল রিজভী, মিনহাজ মান্নান ইমন, রিচার্ড ডি’ রোজারিও এবং মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব মোহামাদ আসাদুর রহমান।

ঢাকা/এনটি/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ র জন য কলম ব সমঝ ত ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে  ১১ হাজার ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।

শনিবার (১ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭.৬৭ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯২ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩৩.৭২ পয়েন্ট বা ৩.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭৬ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি ৩ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭৯৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির, দর কমেছে ১৭৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। তবে লেনদেন হয়নি ২১টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৭.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৬৫১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৭৭ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৯৮ শতাংশ কমে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে প্রিমিয়ার লিজিং
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সিভিও ওরিয়ন ইনফিউশন
  • ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১ শতাংশ
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা