জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সঙ্গে তথ্য উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
Published: 31st, March 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের পর যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় শহিদ জাহাঙ্গীরের বাসায় যান এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এ সময় তিনি সরকারের পক্ষ থেকে শহিদ জাহাঙ্গীরের পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রসঙ্গত, গত বছর ২০ জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে জাহাঙ্গীর শহিদ হন। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন।
জাহাঙ্গীরের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শহিদ সুমাইয়ার বাসায় যান। সেখানে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সুমাইয়ার মতো অসংখ্য মানুষ বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের হাতে নির্মমভাবে খুনের শিকার হয়েছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে।’’
উপদেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে শহিদ সুমাইয়ার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে নিজ বাসায় শহিদ হন সুমাইয়া।
এএএম//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র র উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশন দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারলে দ্রুত রাজনৈতিক বোঝাপড়া সম্ভব: সাইফুল হক
অনেক সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝাপড়া আছে জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ‘যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর জনপরিসরে কমিন্টমেন্ট আছে, জনগণের কাছে অঙ্গীকার আছে। সে কারণে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারলে আগামী জুনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হবে। নূন্যতম জাতীয় ঐকমত্যের প্রশ্নে সবাই একমত হবে। এটিই হবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের রাজনৈতিক অর্জন।’
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সাইফুল হকের নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধ দল সংলাপে অংশ নেয়।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা পুরানো জামানায় ফিরতে চাই না। যে ব্যবস্থায় একটা দলকে চূড়ান্ত কর্তৃত্ববাদী দলে পরিণত করে। দলের নেতৃত্বকে চূড়ান্ত ফ্যাসিবাদী দুঃশাসককে পরিণত করে।’
তিনি বলেন, ‘এবারকার ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট হচ্ছে সেই জামানা থেকে পার হয়ে একটি গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় শুরু করব, মানুষের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করব। ১৬ বছর ধরে মানুষ যে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে, এবারকার সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে বিবেচনা করে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয় যাবে।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ১৬ বছরের ‘ফ্যাসিবাদ’ বিরোধী লড়াইয়ের কথা তুলে ধরে সাইফুল হক বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের বিশাল প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। তা যেন হতাশায় পরিণত না হয়, দুঃস্বপ্নে পরিণত না হয়, আমরা সে লক্ষ্যে সবাই কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সংবিধান দেখতে চাই যেখানে মানুষের রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক, মতাদর্শ ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের কারণে রাষ্ট্র নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না। রাষ্ট্রের কাছে প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা এমন একটা সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা দেখতে চাই, যেখানে কোনো ব্যক্তি বা দল ইচ্ছা করলে ক্ষমতাকে যা কিছু করবার লাইসেন্স মনে করবে না। ক্ষমতার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সাংবিধানিক এবং আইনগত গ্যারান্টি নিশ্চিত দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যেহেতু কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই, বিশেষ কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই, তাই গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার পথে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক আকাঙ্খা পূরণে তারা সঞ্চালক হিসবে ভূমিকা পালন করবে। আমরা কোথায় দাঁড়াব? যেখানে নূন্যতম জাতীয় ঐক্যের জায়গা সেখানে। এটা নিয়ে বেশি টানাটানি না করি। বেশি টানতে গেলে অনেক সময় দঁড়ি ছিড়ে যায়। সে কাজটা না করি।’