মেধাবী প্রজন্মের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সগৌরবে ফেরাতে চায় সরকার: প্রেস সচিব
Published: 2nd, April 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, দেশকে সগৌরবের জায়গায় ফেরাতে হলে মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলার বিকল্প নেই। বই পড়ার মাধ্যমে সুস্থ্য ও মেধাবী প্রজন্ম তৈরি করে আগামীর বাংলাদেশকে সরকার স্বগৌরবে দেখতে চায়।
বুধবার সকালে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাখারের মোতালেব-রাবেয়া স্মৃতি পাঠাগার ও কম্পিউটার ল্যাবে প্রাথমিক স্থায়ী মেডিকেল বুথের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েদের বই পড়ার আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এই পাঠাগার প্রত্যন্ত এলাকার জন্য সত্যিই একটি মহৎ উদ্যোগ। আমরা চাই সবাই বইয়ের মধ্যে আসুক। বইয়ের মধ্যে আসলে একটি সুস্থ-সুপরিকল্পিত প্রজন্ম গড়ে উঠবে। বাংলাদেশকে তার নিজস্ব গৌরবের জায়গায় ফেরাতে হলে মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সেই মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে এই ধরনের পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করে তরুণদের পড়াশোনার আগ্রহ বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, মোতালেব-রাবেয়া স্মৃতি পাঠাগারে নতুন নতুন বইয়ের সংখ্যাও বাড়াতে হবে, আর পাঠকের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। তাহলেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জ্ঞানের পরিধি বাড়বে। আগামীতে তারাই আমাদের নতুন ও সুপরিকল্পিত রাষ্ট্র উপহার দিতে পারবে।
স্থায়ী মেডিকেল বুথের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, এই বুথের মাধ্যমে স্থানীয়রা প্রথমিক চিকিৎসা বিনামূল্যে নিতে পারবেন। এটিও একটি মহৎ উদ্যোগ। কেননা, আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এখনো সরকারিভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া হাসপাতাল দূরে হওয়ায় অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা না পেয়ে বড় ধরনের রোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। এই বুথের প্রথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে গ্রামবাসী উপকৃত হবেন বলে আমি আশা করছি।
এদিন বিকালে প্রেস সচিব শফিকুল আলম চাখারের চাউলাকাঠি ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অফিস ও পাঠাগার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
চাখারের চালিতাবাড়ী-পূর্ব জিড়ারকাঠি (সিপিজে) সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত পাঠাগারের সভাপতি গোলাম মোর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।
প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’