বন্দরে তিন পঞ্চায়েতের দ্বন্দ্ব- সংঘাত ও সংঘর্ষের জের ধরে দীর্ঘ ৩৫ বছরের পুরনো বুরুমদী ঈদগাহ ময়দানে এবার হয়নি ঈদের নামাজ।

প্রশাসনের মধ্যস্থতায় পরে মহল্লার তিন মসজিদে আলাদা অনুষ্ঠিত হয় ঈদ জামাত। এ নিয়ে ঈদুল ফিতরের দিন বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুমদী এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় মামলা হয়েছে।

বুরুমদী উত্তর পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোস্তাকিম মাসুম জানান, বুরুমদী ইসলামিয়া নূরানী মাদ্রাসা সংলগ্ন নাল জমিটি দুই পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্তে ১৯৯০ সালের দিকে ভরাট করে ঈদগাহ নির্মাণ করেন এলাকাবাসী।

এরপর ঈদের নামাজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাঠটি ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। গত রোববার একটি পক্ষ ঈদগাহ’র জমিটি বুরুমদী দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের মালিকানা দাবি করে মাইকে প্রচারণা চালালে তিন পঞ্চায়েতের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর ঈদগাহ মাঠে নামাজসহ সব ধরণের কাযক্রমের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করে প্রশাসন। 

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষ এড়াতে বুরুমদী ঈদগাহ মাঠে ঈদের  নামাজ আদায়ে সকল পক্ষকে বিরত রাখা হয়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ ব র মদ ঈদগ হ

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা

রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।

আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।

লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা