যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা একজন নারী শিক্ষককে চলন্ত গাড়ি থামিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দুই বছর আগে তাঁর একজন কিশোর ছাত্রকে যৌন নিপীড়ন করেছেন।

গত ১৬ মার্চ ক্রিস্টিনা ফরমেলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি ইউটিউবে একটি চ্যানেলে তাঁকে গ্রেপ্তারের সময় অভিযোগ শুনে তিনি তাৎক্ষণিক কী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন, তার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।

রাজ্যের ডাউনার্স গ্রোভ সাউথ হাইস্কুলের বিশেষ শিক্ষার (স্পেশাল এডুকেশন) একজন শিক্ষক ফরমেলা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুই বছর আগে ১৫ বছরের এক কিশোরকে লেখাপড়া করানো এবং তার ফুটবল কোচ হিসেবে কাজ করার সময় ওই ছাত্রকে যৌন নিপীড়ন করেছেন তিনি।

পুলিশ বলেছে, ফরমেলা ও ওই কিশোর পরস্পরের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্ক নিয়ে বার্তা আদান–প্রদান করেছেন। সে মেসেজে যৌনতা নিয়েও নানা কথা আছে।

বেশ কিছুদিন আগে ওই কিশোরের মা নতুন একটি ফোন কিনে সেটি ছেলের জন্য ঠিকঠাক (সেটিংস) করে দিতে গিয়ে ওই মেসেজগুলো খুঁজে পান। এরপর তিনি ছেলের কাছে কী ঘটেছে, তা জানতে চান। ছেলে মায়ের কাছে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা খুলে বলে এবং জানায়, সে পরে ওই সম্পর্কের ইতি টেনেছে।

মায়ের উৎসাহে ছেলেটি পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করে, যার ভিত্তিতে শিকাগো থেকে পুলিশ ফরমেলাকে গ্রেপ্তার করে। সে সময় স্বামীর সঙ্গে গাড়িতে যাচ্ছিলেন এই শিক্ষক। পুলিশ যখন তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে আসতে বলে, তখন ফরমেলাকে দ্বিধান্বিত দেখাচ্ছিল।

পুলিশের বডি ক্যামেরায় পুরো ঘটনা রেকর্ড হয়েছে।

পুলিশ ফরমেলার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁকে জরুরি জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে তাদের সঙ্গে যেতে বলে।

ফরমেলার স্বামীকে তখন গাড়িতে বসেই পুলিশকে প্রশ্ন করতে দেখা যায়, ‘সে কি কোথাও যাচ্ছে?’ উত্তরে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আপনাকে সবকিছুর ব্যাখ্যা দিতে চলেছি।’ ফরমেলাকে পুলিশ জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ স্টেশনে নেওয়া হবে।

ফরমেলা তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি বমি করে দেবেন।

পুলিশের গাড়িতে বসে ওই শিক্ষক বলেন, ‘আমার খুবই ভয় লাগছে। আমার স্বামী কি সঙ্গে আসবেন? আমি কি বিপদে আছি? আমার খুবই হতাশ লাগছে।’

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এই নারী বলেন, অভিযোগকারী তাঁকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করছেন। তিনি দেখতে সুন্দর বলেই তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলেও জোর দাবি করেন তিনি।

পুলিশ ফরমেলাকে আদালতে হাজির করেছে। আদালতের নথি অনুযায়ী ঘটনার বর্ণনায় ফরমেলা বলেছেন, ‘একদিন ওই কিশোর তাঁর ফোন হাতে পেয়ে যায়, পাসকোড দিয়ে সেটি খুলে ফেলে এবং তাঁর ফোন থেকে নিজের ফোনে একটি বার্তা পাঠায়। এরপর তাঁর ফোন থেকে ওই বার্তা মুছে দেয়। কিন্তু তাঁকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য নিজের ফোনে ওই বার্তা রেখে দেয়।’

ওই শিক্ষক দাবি করেন, তিনি দেখতে সুন্দর। তাই সবাই তাঁর পেছনে লাগে।

ওই নারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুটি গুরুতর অপরাধমূলক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, ফরমেলা স্কুল প্রাঙ্গণে যেতে পারবেন না এবং ১৮ বছরের কম বয়সী কারও সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। তাঁকে চাকরি থেকে সবেতনে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ফরম ল ক

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
  • মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা