ঈদগাহের জমি ওয়াকফা দাবিতে বন্দরে মানববন্ধন
Published: 4th, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার বুরুন্দী ঈদগাহের জমি ওয়াকফা দাবিতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বাদ জুম্মা বুরুন্দী উত্তরপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও বুরুন্দী তিন তারা জামে মসজিদসহ এলাকাবাসী আয়োজনে বুরুন্দী ঈদগাহ মাঠে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঈদগাহর জমি নিয়ে কোনরকম তামাশা বরদাশত করা হবে না। গ্রামবাসী ঈদগাহর জন্য টাকা দিয়েছে সেই অনুযায়ী এই জমি ঈদগাহ হিসেবে আমরা জানি। এই জমি শুধু বুরুন্দি ঈদগাহ হিসেবেই ব্যবহার হবে। আপনাদের কোন মাসালা থাকলে আসুন আমাদের সঙ্গে বসুন। তারপর অাপনারা যদি আমাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হন তবেই আমরা মেনে নিবো। আমরা কোন বিরোধ চাইনা। আমরা শান্তি চাই। আমরা কাউকে নিয়ে কটাক্ষ করতে চাইনা। সমাজিকভাবেই ফয়সালা হোক। এই জমি ঈদগাহ হিসেবে সরকারি খাতায় নাম উঠেছে বেশ কয়েকবার সরকারি অনুদানও নেয়া হয়েছে এখন কেনো এতো তাল বাহানা আর নাটক শুরু হয়েছে।
বুরুন্দী তিন তারা জামে মসজিদ কমিটি সভাপতি হাজী আবু হানিফার সভাপতিত্বে মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন বুরুন্দী উত্তরপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি নাজিম উদ্দিন, একই কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি হাজী কবির হোসেন ভূইয়া, বুরুন্দী উত্তরপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মোতয়ালী হাজী সাফিজ্জামান প্রধান, সাধারন সম্পাদক হাজী আলতাফ হোসেন ভূঁইয়া, সহ সভাপতি আলমগীর প্রধান, বুরুন্দী তিন তারা জামে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক হাজী জাকির হোসেন বিল্পব সরকার, সহ সভাপতি হাজী আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জ্বল সরকার, সাহাগ নূর, বুরুন্দী উত্তরপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সহ সাধারন সম্পাদক নাসির ভূইয়া, একই কমিটির অর্থ সম্পাদক হাজী মোস্তাকিম মাছুম, সহ সাধারন সম্পাদক হাজী মহসিন প্রধান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বুরুন্দী এলাকার সমাজ সেবক হাজী দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মোখলেস মাষ্টার, জাহাঙ্গীর শাহ, বাবুল মিয়া, রাকিব হোসেন, সালাউদ্দিন সিপন প্রধান, আব্দুল কাদির, আফসার উদ্দিন প্রধান, মফিজুল ইসলাম ভূইয়া, হাজী আব্দুল মোতালেব, মজনু সরকার, আলমগীর সরকার, আলামিন সরকার, মিজানুর, মোসলেউদ্দিন প্রধান, জাকির প্রধান, রাসেল প্রধান, আলিম উদ্দিন, রুবেল মাষ্টার, নাজির মাহামুদ ও কবির সরকারসহ স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কম ট র সরক র ঈদগ হ মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
বাসে হামলার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্ষণিকা বাস এবং শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন ঢাবির ১৭টি বাস রুটে চলাচলকারী শিক্ষার্থীরা। এতে বাস রুট কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণও উপস্থিত ছিলেন।
তরঙ্গ বাস রুটের সভাপতি রাফিন বলেন, “বাস রুট ভিত্তিক চলাচলকারী শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আগে থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা নানা ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। পরিবহন খাতে বাজেট বাড়িয়ে আরো উন্নত করার প্রয়োজন রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
ঢাবির বাসে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে হতাহতদের স্মরণে ঢাবিতে দোয়া মাহফিল
তিনি বলেন, “কিশোরগ্যাংগুলোকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। ক্ষণিকা বাসে হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং বাসে চলাচলকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয় প্রশাসন তৎপরতা না দেখালে আমরা উত্তরায় লং মার্চ করব।”
ক্ষণিকা বাস রুটের সভাপতি ফারজানা মুন্নি বলেন, “বাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পরই আমি প্রক্টর স্যারকে জানায়। তিনি আমাদের সহযোগিতা করেছেন। ক্ষণিকা বাস কমিটির পক্ষ থেকে আমরা উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছি। আমাদের জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া এখনো চলমান। আমরা এ ঘটনার সুস্থ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
ঢাবি শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাবির ক্ষণিকা বাসে স্কুলের বাচ্চা ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হামলা করে। গত ৫ আগস্টের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিতর্ক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঢাবির বাসে হামলা করাটা যৌক্তিক, এটা প্রচার করা হচ্ছে কিছু কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কন্টেন্টের ওপর ভিত্তি করে। এ ঘটনা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকা জরুরি।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ এ কিশোর গ্যাংগুলোকে পেলে-পুষে বড় করেছে। এদের এখন কোনো অভিভাবক নেই। ফলে এরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। ক্ষণিকা বাসে হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী