জোসে মরিনিও যেখানে, বিতর্কের জন্ম সেখানে—বলা যায়, কথাটি এখন চিরন্তন সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি যেখানেই যান, সেখানেই উদ্ভট সব কাণ্ড করে বসেন। ফেনেরবাচের কোচ হওয়ার পর থেকে তুরস্কেও তাঁকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

সর্বশেষ গত বুধবার তুর্কি কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে গালাতাসারাইয়ের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার পর মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মরিনিও। অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে গালাতাসারাই কোচ ওকান বুরুকের নাক তাঁর দুই আঙুল দিয়ে টিপে ধরেন।

আঘাত পেয়ে বুরুক সঙ্গে সঙ্গে হাত দিয়ে নাক ঢেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এমন কাণ্ডের পর মরিনিও বড়সড় শাস্তি পেতে যাচ্ছেন, তা একরকম নিশ্চিত ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত ধারণাটাই সত্যি হলো।

মরিনিওকে ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন। এ ছাড়া তাঁকে ২ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ লিরা (তুরস্কের মুদ্রা) জরিমানা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা।

আরও পড়ুনমরিনিও কি কখনো নিজেকে শোধরাবেন না০৩ জুন ২০২৩

মরিনিও সহকারী সালভাতোর ফোতিও পার পাননি। গালাতাসারাইয়ের এক খেলোয়াড়কে অপমান করার দায়ে ফোতিকে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ওকান বুরুকের নাক টিপে ধরাকে মরিনিওর অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ হিসেবে বিবেচনা করেছে তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘জোসে মরিনিও পরবর্তী তিন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে দলের ড্রেসিংরুমে ও টাচলাইনে থাকতে পারবেন না।’

আগামী দুই সপ্তাহ মরিনিওকে ফেনেরবাচের ডাগআউটে দেখা যাবে না.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত রস ক

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ