লক্ষ্মীপুরের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ১
Published: 8th, April 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় নুরুল আমিন নামের এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। একই সময়ে নিহত ব্যক্তির চার সন্তানকেও মারধর করা হয়। গতকাল সোমবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ভাইস চেয়ারম্যান সড়কের চৌধুরীর চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নুরুল আমিন তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে তোরাবগঞ্জ বাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নুরুল আমিনের ছেলে মো.
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পিটুনিতে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি জানা গেছে। পিটুনির এক পর্যায়ে নুরুল আমিন একটি গর্তের মধ্যে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মো. সেলিম নামের একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ওসি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত মামলা করেনি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ল আম ন
এছাড়াও পড়ুন:
দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গেপ্তার ২
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নুরুল আমিন সর্দার (৭০) নামে দৃষ্টিহীন এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (১৪ জুন) রাতে পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে মাকছুদ (২৪) ও একই এলাকার মনিরের ছেলে আলমগীর (২৩)।
আরো পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
বগুড়ায় বাল্য বিয়ে দিতে না চাওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামলার বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, গত ৭ এপ্রিল রাতে পূর্বশত্রুতার জেরে মাকছুদ ও আলমগীর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ নুরুল আমিনের ছেলে বজলুর রহমান ভুলুকে (৩০) মারধর করেন। ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে তার বাবা নুরুল আমিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এসময় তাকেও মারধর করা হয়। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে নিলে নুরুল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বজলুর রহমান বাদী হয়ে গত ১০ এপ্রিল কমলনগর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও নাম না জানা ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর থেকেই আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে র্যাব।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাতে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানাধীন ঘোষবাদ ইউনিয়নের রামবল্লভপুর গ্রাম থেকে মামলার এজাহার নামীয় ৪ নম্বর আসামি মাকছুদকে ও কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন বসুরহাট পৌরসভার সামনে থেকে ৬ নম্বর আসামি আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ