লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নুরুল আমিন (৬০) নামে এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় নিহতের ৪ ছেলে-মেয়ে আহত হন। আহতরা হলেন- নিহত নুরুল আমিনের ছেলে বজলুর রহমান ভুলু, মো. মামুন, মো. ফিরোজ ও মেয়ে আছমা আক্তার।

গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ভাইস চেয়ারম্যান সড়কের চৌধুরীর চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে নুরুল আমিনের মৃত্যুতে তোরাবগঞ্জ বাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। নুরুল আমিনকে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য দাবি করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারসহ দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় বিক্ষুব্ধরা।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার সময় নুরুল আমিনের ছেলে মামুন চা খেতে চৌধুরীর দোকানে যান। এতে তাকে একা পেয়ে কোনো কারণ ছাড়াই কামাল, জামাল, মাসুদ, আলমগীর, মনির ও সেলিম মারধর করেন। খবর পেয়ে নুরুল আমিনসহ তার ছেলে বুলু ও মেয়ে আছমা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় মামুনকে বাঁচাতে গেলে তারাও মারধরের শিকার হন। মারধরে নুরুল আমিন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নুরুল আমিনসহ তিনজনকে সদর হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। সদর হাসপাতালে নিলে নুরুল আমিনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বজলুর রহমান বুলু বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বহিরাগতদের নিয়ে চা দোকানের মাচায় আড্ডা দেয়। দুইদিন আগে আমি তাদের কাছ থেকে বহিরাগতদের পরিচয় জানতে চাই। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে তারা আমার ভাইকে মারধর করে। পরে আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদেরকে মেরে আহত করে। তাদের পিটুনিতেই আমার বাবা মারা গেছেন।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সেলিম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র প ট য় হত য ন র ল আম ন ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গেপ্তার ২

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নুরুল আমিন সর্দার (৭০) নামে দৃষ্টিহীন এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।  শনিবার (১৪ জুন) রাতে পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে র‍্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে মাকছুদ (২৪) ও একই এলাকার মনিরের ছেলে আলমগীর (২৩)।

আরো পড়ুন:

মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা

বগুড়ায় বাল্য বিয়ে দিতে না চাওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মামলার বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, গত ৭ এপ্রিল রাতে পূর্বশত্রুতার জেরে মাকছুদ ও আলমগীর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ নুরুল আমিনের ছেলে বজলুর রহমান ভুলুকে (৩০) মারধর করেন। ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে তার বাবা নুরুল আমিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এসময় তাকেও মারধর করা হয়। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে নিলে নুরুল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বজলুর রহমান বাদী হয়ে গত ১০ এপ্রিল কমলনগর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও নাম না জানা ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর থেকেই আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে র‍্যাব।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাতে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানাধীন ঘোষবাদ ইউনিয়নের রামবল্লভপুর গ্রাম থেকে মামলার এজাহার নামীয় ৪ নম্বর আসামি মাকছুদকে ও কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন বসুরহাট পৌরসভার সামনে থেকে ৬ নম্বর আসামি আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গেপ্তার ২