গোপালগঞ্জে উৎপল মন্ডল ওরফে গৌতম মন্ডল (৪২) নামের এক ভুয়া পুলিশ সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
উৎপল মন্ডল ওরফে গৌতম মন্ডলের বাড়ি জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিস্তাইল গ্রামে। গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মো.
তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন উৎপল। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
আরো পড়ুন:
সড়কের পাশে পড়ে ছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ
জামিন: জেল গেটে হামলার শিকার সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ
ঢাকা/বাদল/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিইপিজেডের শ্রমিক উৎপল তঞ্চঙ্গ্যার মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেল
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় একটি কারখানার সুপারভাইজারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। তাঁদের তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এলাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজে (বিআইটিআইডি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উৎপল তঞ্চঙ্গ্যা (২৩)। তিনি সিইপিজেডের মেসার্স এলসিবি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কারখানায় ফিনিশিং হেলপার পদে কর্মরত ছিলেন।
কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক দৌলত হোসেন এবং উৎপলের সহকর্মী জিসান তঞ্চঙ্গ্যা ও সুজন চাকমার বরাত দিয়ে সিইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানায়, গত রোববার বেলা ১১টার দিকে উৎপল তঞ্চঙ্গ্যা অসুস্থ বোধ করেন এবং তিনি সুপারভাইজারের কাছে অসুস্থতার বিষয়টি জানান। পরে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে উৎপলের মৃত্যুর বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। এসব পোস্টে দাবি করা হয়, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি তিনবার ছুটির আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁর আবেদন গ্রহণ করেনি। চাকরি হারানোর ভয়ে তিনি বাধ্য হয়ে অসুস্থ শরীর নিয়েই কাজে যোগ দেন। উৎপলের মৃত্যুর জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের অমানবিক আচরণই সরাসরি দায়ী।
এ বিষয়ে সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুস সোবহান বলেন, এই মর্মান্তিক ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বেপজা কর্তৃপক্ষ একটি চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।