গোপালগঞ্জে উৎপল মন্ডল (৪২) ওরফে গৌতম মন্ডল নামে এক ‘ভুয়া’ পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ঘোনাপাড়া এলাকার থেকে তাকে আটক করে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ।

পুলিশ পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দিস্তাইল গ্রামের নিরাপদ মন্ডলের ছেলে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান ওই ‘ভুয়া’ পুলিশ সদস্যকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, তিনি  গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকার টেইলারিং শপের মালিক মনোতোষ মন্ডলকে বলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শওকত হোসেন দিদার হত্যা মামলায় আপনাকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। কিছু টাকা-পয়সা দিলে আপনাদের ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। মনোতোষ মন্ডলের কাছে ওই ব্যক্তির আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। তিনি বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে।

ওসি বলেন, পুলিশ পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করার অপরাধে উৎপল মণ্ডল ওরফে গৌতম মন্ডলকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছে থেকে পুলিশের উপপরিদর্শকের একটি ভুয়া আইডি কার্ড জব্দ করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলা হচ্ছে ভুয়া পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতারণা মামলা। পরে তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় প্রতারণা মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক গ প লগঞ জ সদর

এছাড়াও পড়ুন:

নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপিকে বিতর্কিত করছে আওয়ামী দোসর সামাদ ও রনি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় পার্টনার না রাখায় স্বাদ রেস্তোরাঁ নামক একটি রেস্টুরেন্টে  তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১লা ডিসেম্বর) নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের এসওরোড এলাকার ডিপো টার্মিনালে অবস্থিত রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক এমপি শামীম ওসমানের সহযোগী সামাদ ও তার ছেলে আহাদ, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজ মন্ডলের ছেলে জাহিদের সমন্ধী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রনি ওরফে বাইট্টা রনি ও তাঁদের শেল্টারদাতা যুবদলের নেতা সুপারি কামাল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রেস্তোরাঁর পরিচালকগণ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

রেস্তোরাঁর মালিক আলহাজ্ব বাচ্চু মিয়া জানান, সকল নিয়ম মেনে গত পহেলা ডিসেম্বর থেকে আমি রেস্টুরেন্টটি নুরুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দেই। পহেলা ডিসেম্বর রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধনের সময় সামাদের নির্দেশে সামাদের ছেলে আহাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রনি ও সুপারি কামালের নেতৃত্বে একশ থেকে দেড়শো জনের বাহিনী এসে জোরপূর্বক রেস্টুরেন্টে তালা লাগিয়ে দেয়। তাঁদের দাবি বিনা পুঁজিতে তাঁদের রেস্তোরাঁয় পার্টনার রাখতে হবে। অন্যথায় তারা রেস্টুরেন্ট খুলতে দিবে না। এবিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ অবহিত হলে অভিযুক্তরা ভয়ে তালা খুলে দেন। পরে দুইদিন পর আবার সামাদের ছেলে আহাদ ও রনি ১৫/২০ জন লোক নিয়ে  রেস্টুরেন্টে তালা লাগিয়ে দেয়। এবিষয়ে রেস্তোরাঁর মালিক জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

এদিকে স্থানীয়রা জানান, শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মামলার আসামি সামাদ ও তার ছেলে আহাদ গত ০৫ আগষ্টের পর ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা বনে যান। আওয়ামী লীগের লোকজনকে নিয়ে গড়ে তুলেন সচেতন নাগরিক সমাজ নামের কমিটি। এ কমিটির নামে গোদনাইল মেঘনা ডিপো নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ সহ নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন সামাদ ও তার ছেলে। চলতি বছরের ১লা মার্চ গোদনাইল মেঘনা ডিপোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় সামাদ বাহিনী। আর এতে গুরুতর আহত হন যুবদল নেতা আসিফের বাবা মুখলেস সহ ০৪ জন। তাঁদের এসব অপকর্ম নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপিকে বিতর্কিত করছে বলে জানান স্থানীয়রা।

এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এলাকায় খোঁজ করে পাওয়া যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন রনি ওরফে বাইট্টা রনির মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল বারিক পিপিএমবার  বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ