নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় দুই স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা হয়েছে। দুটি মামলাতেই আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ। তিনি জানান, বুধবার রাতে দুই ছাত্রীর বাবা লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেন। অভিযোগটি রাতেই মামলা হিসেবে নেওয়া হয়।

দুই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন ইমরান মিয়া (১৯), রাজ্জাক মিয়া (২৫), আবদুর রহমান (২৭), ইস্রাফিল মিয়া (২৩), সাইফুল মিয়া (২৮), রমজান মিয়া (২২), কাইয়ুম মিয়া (২১) ও মুন্না মিয়া (২৩)।

এর আগে ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর বাবা জানিয়েছিলেন, ধর্ষণে অভিযুক্ত আটজন এলাকায় প্রভাবশালী এবং তাঁদের পূর্বপরিচিত। তাঁদের মামলা করার মতো সামর্থ্য নেই। তাই থানায় না গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চেয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুননরসিংদীতে দুই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় না গিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে ‘বিচার’ ০৯ এপ্রিল ২০২৫

দুই মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই দুই স্কুলছাত্রী গত সোমবার বিকেলে দুই তরুণের সঙ্গে নৌকায় নদীতে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় ওই দুই তরুণ নৌকাটি তীরে ভেড়ান। এ সময় কৌশলে তাঁরা দুই ছাত্রীকে একটি বিদ্যালয়ের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। পরে তাঁরা আরও ছয় বন্ধুকে ডেকে আনেন। এরপর তাঁরা ভয় দেখিয়ে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী বাড়ি ফিরে ঘটনাটি জানায়।

জানতে চাইলে রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ