বাউফলে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, বিএনপি নেতাকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর
Published: 10th, April 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপির স্থানীয় এক নেতাসহ দুজনকে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের মৈশাদি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মৈশাদি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির কর্মী মো.
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জহির উদ্দিন (৬০), তাঁর ছেলে মো. তানভীর (২৯) ও কর্পূরকাঠী গ্রামের মো. ফকরুল ইসলামকে (৪৫) প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং কবির হোসেন নামের একজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপি নেতা জহিরের আত্মীয় মফিজ হাওলাদার বলেন, গতকাল হান্নান ও তাঁর লোকজন তাঁকে (মফিজ) মারধর করেন। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে তাঁর স্বজনেরা আজ হান্নানের বাড়িতে গেলে ওই বাড়ির লোকজন অতর্কিতে হামলা করেন।
আহত কবির হোসেন বলেন, মফিজুর অন্য এলাকার ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও মারধর করেন। এলাকাবাসী তাঁদের পিটুনি দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স ঘর ষ ব উফল উপজ ল ল কজন
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ত্র ও মাদকসহ সাবেক এমপির ছেলে আটক
সাতক্ষীরায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রিফাত আমিনের ছেলে সাফায়েত সরোয়ার রুমনকে (৪৮) আটক করেছে সেনাবাহিনী। আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের রাজ্জাক পার্ক সংলগ্ন বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার হেফাজতে থাকা একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন শতাধিক ইয়াবা, ব্যথানাশক ইনজেকশন, মদ ও মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।
রুমন সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে। রিফাত আমিন ছিলেন জেলা মহিলা লীগের সাবেক সভানেত্রী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মনোনীত হন। মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনাসহ অন্যের জমি, চিংড়িঘের ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ রয়েছে রুমনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, সেনাবাহিনীর অভিযানকালে রুমন দোতলা থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে নিচে অবস্থানরত সেনাসদস্যরা তাকে দ্রুত ধরে ফেলেন।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া মেজর ইফতেখার আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মদসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।