কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে (১৩) আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ  প্রথমে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটির মায়ের অভিযোগে ভিত্তিতে পাকার মাথা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় কিছু যুবকের ছবি তুলে এনে ভুক্তভোগী শিশুটিকে দেখালে সে অভিযুক্ত ছেলেটিকে শনাক্ত করে। একাধিক ছবি দেখালেও শিশুটি শুধু অভিযুক্তকেই দেখিয়েছে। পরে তাকে আটক করে থানায় আনা হয়।

তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত কিশোরের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তাই তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে ৯ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শিশুটির মা বিষয়টি টের পেয়ে রাত দেড়টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে ধারণা করেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তানোরে চুরি হওয়া ১১ লাখ টাকা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হয়ে যাওয়া প্রায় ১১ লাখ টাকা। এসব টাকা চুরির অভিযোগে আরজেদ আলী ওরফে কুরহান (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার জোড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কুরহানের বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে টাকার ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই কুরহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। টাকা উদ্ধারের পর বুধবার বিকেলে কুরহানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, রাজশাহী নগরের শিরোইল মঠপুকুর এলাকার বাসিন্দা মাবিয়া খাতুন জমি বিক্রি করতে গত সোমবার তানোর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সঙ্গে ছিল জমি বিক্রির ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অফিসে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় মাবিয়া খাতুন তার টাকার ব্যাগটি চেয়ারের পাশে রাখেন। এ সুযোগে কৌশলে ব্যাগটি নিয়ে সটকে পড়ে কুরহান।

মোবাইল ফোনে কথোপকথন শেষে ব্যাগটি না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন মাবিয়া খাতুন। এতে পুরো অফিসজুড়ে হইচই পড়ে যায়। পরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি ব্যাগ নিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছে। ঘটনার দিনই মাবিয়া খাতুন তানোর থানায় অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে চোর শনাক্ত করে। মঙ্গলবার রাতেই কুরহানকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশকে কুরহান জানিয়েছেন, ব্যাগটি চুরি করে কাউকে কিছু না বলে তিনি বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে তা পুঁতে রাখেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টাকা খরচের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে, এত দ্রুত ধরা পড়বেন, সেটা ভাবেননি।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, কুরহান চুরির কথা স্বীকার করলে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পেছনের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় ব্যাগভর্তি টাকা। আদালতের অনুমতি নিয়ে এই টাকা মালিক মাবিয়া খাতুনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ