চকলেটের লোভ দেখিয়ে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, কিশোর আটক
Published: 11th, April 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে (১৩) আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ প্রথমে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটির মায়ের অভিযোগে ভিত্তিতে পাকার মাথা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় কিছু যুবকের ছবি তুলে এনে ভুক্তভোগী শিশুটিকে দেখালে সে অভিযুক্ত ছেলেটিকে শনাক্ত করে। একাধিক ছবি দেখালেও শিশুটি শুধু অভিযুক্তকেই দেখিয়েছে। পরে তাকে আটক করে থানায় আনা হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত কিশোরের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তাই তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ৯ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শিশুটির মা বিষয়টি টের পেয়ে রাত দেড়টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে ধারণা করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু এ বছরই: রুশ রাষ্ট্রদূত
চলতি বছরের শেষ নাগাদ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ম্যান্টিতস্কি। রোববার রাশিয়া দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ বছর রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ের ৮০ বছর উদযাপন করছে। একইসঙ্গে সোভিয়েত পারমাণবিক শিল্প প্রতিষ্ঠারও ৮০ বছর। এই গৌরবময় সময়ে রূপপুর প্রকল্পের অগ্রগতি আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।’ তিনি জানান, রুশ ও বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের যৌথ প্রচেষ্টায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং প্রথম ইউনিট উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর প্রকল্প শুধু প্রযুক্তিগত নয়, রাশিয়া-বাংলাদেশ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ জ্বালানি খাতে একটি নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা ‘রোসাটম’ এর সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং বর্তমানে প্রকল্পের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক চালুর প্রস্তুতিতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়ার প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন রয়েছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর অন্যতম।