ফিলিস্তিনে মুসলমানদের উপর ইসরায়েলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে সিদ্ধিরগঞ্জে বিক্ষোভ
Published: 11th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর দখলদার ইসরায়েলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সিদ্ধিরগঞ্জের ১০নং ওয়ার্ড বিএনপি, ইমাম ওলামা কল্যাণ পরিষদ ও হিলফুল ফুজুল যুব সংঘ।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বাদজুমা সিদ্ধিরগঞ্জে চৌধুরীবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ২নং ঢাকেশ^রী বাজারে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিস সিকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন লেকু, জুয়েল রানা, মোহাম্মদ জসিম মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, মানিক, সজ্জাত, নজরুল, মামুন, ১০নং ওয়ার্ড ওলাম পরিষদের সভাপতি মোস্তফা কামাল জিহাদি, ১০নং ওয়ার্ড ইমাম ওলামা পরিষদের সহ-সভাপতি মুফতি রাকিবুল ইসলাম মাহমুদী, মাওলানা বশিরুল হক, সাধারণ সম্পাদক মুফতি আমির হোসাইন লাকসামী, কোষাধ্যক্ষ মুফতি আশরাফ আলী, মাওলানা মানুসুর দেওয়ান, মোহাম্মদ মামুন ও হিলফুজ ফুজুল যুব সংঘের সভাপতি ডাঃ মাহবুবর রহমানসহ আরো অনেকে।
এসময় ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিস সিকদার বলেন, আমার সবাই মুসলমান ভাই ভাই, আমাদের ফিলিস্তিনি মুসলমান ভাইদের পাশে দাড়াবার জন্য যা করা প্রয়োজন আমরা তাই করবো। আমরা আজ থেকে আমরা সকল ধরনের ইহুদি পন্য বর্জন করবো।
তিনি আরো বলেন, ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল দীর্ঘদিন যাবৎ ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর যে নির্মম নির্যাতন হামলা এবং নারী পুরুষ নির্বিশেষে গণহত্যা করছে এর তীব্রনিন্দা জানাই।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ম সলম ন
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ