ওল্ড ইজ গোল্ড, আবেগতাড়িত ভক্ত-অনুরাগীরা
Published: 11th, April 2025 GMT
কালো রঙের শার্ট পরে মাঝে দাঁড়ানো অভিনেতা জাহিদ হাসান। তার ডান পাশে তৌকির আহমেদ, বাঁয়ে আজিজুল হাকিম। ঠিক তাদের সামনে বসে আছেন জনপ্রিয় তিন অভিনেত্রী। তারা হলেন— বিপাশা হায়াত, আফসানা মিমি ও শমী কায়সার। সবার মুখে হাসির ঢেউ খেলে যাচ্ছে।
নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত তার ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে এমন লুকে ধরা দিয়েছেন টিভি নাটকের সোনালি দিনের তারকারা। পুরোনো এ ছবির ক্যাপশনে বিপাশা হায়াত লেখেন— “ওল্ড ইজ গোল্ড।”
এক ফ্রেমে প্রিয় তারকাদের দেখে নস্টালজিয়া হয়ে পড়েছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। জেসমিন আক্তার নামে একজন লেখেন, “বাংলার অভিনয় জগতের সেরা মানুষগুলো, এরা সবার প্রিয় মুখ।” পশ্চিমবঙ্গ থেকে একজন লেখেন, “উনারা হলেন বাংলাদেশের নাট্যজগতের এক একটা হীরা। ৯০ দশকের নাটক যারা দেখেছেন, তারা হচ্ছেন ভাগ্যবান। আমি তাদের মধ্যে একজন ভাগ্যবান। সেই কৈশোর আর যৌবনের সন্ধিক্ষণে উনাদের নাটক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম।”
আরো পড়ুন:
ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে অপূর্ব-নীহা
ভিউয়ের দৌড়ে ‘বড় ছেলে’ অপূর্বকে ছাড়িয়ে নিলয়
নব্বই দশকে বিটিভিতে এসব তারকাদের নাটক দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি লেখেন, “তখন ক্যাবল, ডিশ বা অন্যকোনো মাধ্যম ছিল না, প্রার্থনা করতাম যেন ঝড় বাতাস না হয়। কারণ অনেক কষ্টে আপনাদের দেশের একটা চ্যানেল আসতো। নাটকের প্রতি যে ভালোবাসা, প্রেম, টান তা পুরোটাই আপনাদের জন্য। এখনো আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু পাওয়ার আছে, শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা রইল।”
জাহিদ হাসান মন্তব্যকারীর প্রিয় অভিনেতা। তা জানিয়ে তিনি বলেন, “আর একটা কথা জাহিদ স্যার আমার সবচাইতে পছন্দের অভিনেতা আর আপনাকে (বিপাশা হায়াত) আমার মা বলতেন বাংলাদেশের সুচিত্রা সেন (আমি কোনো তুলনায় যাচ্ছি না, কারণ আপনার অভিনয়ে একটা নিজস্বতা রয়েছে)। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, আপনাদের দীর্ঘ জীবন কামনা করি।”
মারুফ হাবিব নামে একজন লেখেন, “তখনকার নাটকের গল্প ছিল সুন্দর, শিক্ষণীয়, ভাষা পরিচ্ছন্ন আর ভালো অভিনয় দক্ষতাসম্পন্ন অভিনয়শিল্পীদের ভেতর থেকে ডিরেক্টররা সুঅভিনয় বের করে আনতেন। এখনকার বেশিরভাগ নাটকে সেই প্রাণ আর পাই না। তবে ঈদের সময় কিছু ভালো নাটক হয়। এর অর্থ হলো চেষ্টা করলেই ভালো নাটক তৈরি করা সম্ভব।”
বিপাশা হায়াতের ক্যাপশনের লেখার সঙ্গে সহমত পোষণ করে শফিকুল নামে একজন লেখেন, “একদম সঠিক বলেছেন। আপনাদের মতো সুন্দর অভিনয় এখন আর কেউ করে না। তখনই নাটকগুলো ও তার স্ক্রিপ্টগুলো ছিল অনেক সুন্দর। ভালোবাসা থাকবে চিরন্তন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক একজন ল খ ন আপন দ র র ন টক
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।