রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েদির মৃত্যু
Published: 12th, April 2025 GMT
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারের এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম হাদিসুল ইসলাম (৫১)। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার উমরপুর শ্যামপুর মধ্যপাড়া গ্রামে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আমান উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হাদিসুল মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। গত বছরের ৭ জুলাই থেকে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী পাঠানো হয়। এরপর তাকে রামেক হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার (১২ এপ্রিল) তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আরো পড়ুন:
ছেলে সন্তানের জন্ম দিল ‘ধর্ষণের শিকার’ কিশোরী
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে রোগী ভর্তি শুরু
ঢাকা/কেয়া/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ইনব বগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।