পয়লা বৈশাখের আয়োজন বাধাগ্রস্ত করার কোনো অধিকার নেই
Published: 12th, April 2025 GMT
পয়লা বৈশাখ পালনের ঐতিহ্যগত নানা আয়োজন ও অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি ও উসকানি দেওয়ার অপপ্রয়াসের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ১৮ বিশিষ্ট নাগরিক। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘পয়লা বৈশাখ ঘিরে যেসব সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উৎসব হয়, তা আমাদের জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রকাশের এক মহা আয়োজনও বটে। এই আয়োজনকে কলঙ্কিত বা বাধাগ্রস্ত করার কোনো অধিকার কারও নেই।’
বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন ও সুশৃঙ্খলভাবে পয়লা বৈশাখ পালনে বাধা কিংবা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি, মহল ও সংগঠনগুলোকে যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা থেকে বিরত রাখতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকার, বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব প্রতিষ্ঠানের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, মনে রাখতে হবে, পয়লা বৈশাখ পালন যেমন কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, তেমনি তার সঙ্গে ধর্মবিশ্বাসের সংঘাতও নেই। মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামল থেকে এই জনপদের ধর্ম-বর্ণ-জাতিগোষ্ঠীনির্বিশেষে সব মানুষ এই উৎসব পালন করে এসেছেন। একে বিতর্কিত করার কোনো অবকাশ নেই।
বিবৃতিদাতারা বলেছেন, ‘আমরা তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি, কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মিডিয়ায় কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক মহল আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ পয়লা বৈশাখ নববর্ষ পালন ও এর নানা অনুষ্ঠান নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টির অসিলা খুঁজে বেড়াচ্ছে। বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় কী ধরনের পোশাক পরা যাবে, কী ধরনের প্ল্যাকার্ড বহন করা যাবে অথবা যাবে না—এসব অযাচিত অনধিকার চর্চার ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তৃতা–বিবৃতি দিয়ে চলেছে। তাদের এই সকল বিবৃতি এবং উগ্র আচরণের হুংকার আমাদের পঞ্চাশ ষাটের দশকে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর সেবাদাস উগ্র সাম্প্রদায়িক মহলের সন্ত্রাসী আচরণের কথা মনে করিয়ে দেয়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই দেশের মানুষ সংগ্রাম ও ’৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ওই সব ধর্ম ব্যবসায়ী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সব অপচেষ্টা পরাজিত করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০২৪ সালের জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী, গণহত্যাকারী লুটেরা সরকারকেও উৎখাত করে জবাবদিহিমূলক সুশাসন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং অসাম্প্রদায়িক ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে স্ব–স্ব অবস্থান থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সময় পয়লা বৈশাখ পালনের অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি কিংবা তার কোনো অনুষ্ঠানের ওপর অযাচিত বিধিনিষেধ আরোপের অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ওই মহলের উগ্র সাম্প্রদায়িক বিবৃতি এবং উসকানিমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামের মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষ খুঁজার চেষ্টা করা সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপচেষ্টারই নামান্তর বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, তাদের প্রশ্রয় দিয়ে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে উদাহরণ সৃষ্টি করলেন, তা প্রশ্নবিদ্ধ ও নিন্দনীয়। ‘আদিবাসী’দের উপস্থিতি যেমন অন্তর্ভুক্তিমূলক কাজের অংশ, তেমনি তাদের ‘আদিবাসী’ পরিচয়ের অস্বীকৃতি তাদের প্রতি সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অবহেলারই নজিরমাত্র।
গণমাধ্যমে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের বেসরকারি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। এতে সই করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, সেন্ট্রাল উইমেন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর পারভীন হাসান, আসকের চেয়ারপারসন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, অধ্যাপক খাইরুল চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, আইনজীবী তবারক হোসেইন, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী সাঈদ আহমেদ ও আদিবাসী অধিকারকর্মী হানা শামস আহমেদ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ন আইনজ ব সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
তত্ত্বাবধায়ক সরকারযুক্ত সংবিধানই জনগণ চায়
ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত হয়েছিল সংবিধানে, তা–ই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে আপিল বিভাগে এ–সংক্রান্ত শুনানিতে বলেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল–পরবর্তী নির্বাচনগুলোর চিত্র দেখিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন এবং ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে—দেশের জনগণ এমন বিতর্কিত কোনো নির্বাচন হোক, তা চায় না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর আজ রোববার ষষ্ঠ দিনের মতো শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে বিএনপি মহাসচিবের আপিল–সংক্রান্ত শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন।
সকাল ৯টা ২০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। বেলা ১১টা থেকে মাঝে বিরতি দিয়ে ১টা পর্যন্ত শুনানি চলে। পরবর্তী শুনানির জন্য মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দিন রাখা হয়েছে। এদিন বিরতির পর শুনানি শুরুর আগে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের অপর বিচারপতিদের সঙ্গে এজলাসে আসেন বাংলাদেশে সফররত নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউত। বিচারপতিদের সঙ্গে এজলাসে বসে এই শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেই একটি আলোচিত বিষয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বিএনপি সরকার সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী এনে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারব্যবস্থা শাসনতন্ত্রে যুক্ত করেছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার দুই বছর পর সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী এনে এই ব্যবস্থা বাতিল করে। তার আগে সর্বোচ্চ আদালতের এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
ওই রায়ের ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন ও আপিল বিভাগের রুলসের ব্যত্যয় ঘটেছে দাবি করে শুনানিতে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘রায়ে সইয়ের আগেই তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার, সংসদ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে সংবিধান সংশোধন (পঞ্চদশ সংশোধনী) করে। পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা ও স্বাক্ষরের (বিচারপতিদের রায়ে সই করা) আগে সরকার সংসদ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের বলে তড়িঘড়ি করে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করে, যা দেশবাসীর জানা। দেশের বিবেকবান মানুষ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগে এই সংবিধান সংশোধনকে সরকারের হীন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছিল। এটি জনগণের বিরুদ্ধে বড় ষড়যন্ত্র।’
বিএনপির একসময়ের আইনবিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন শুনানিতে বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করেছেন। সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে বহাল রাখার লক্ষ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি (বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক) দেশের প্রচলিত আইন ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রুলস যথাযথভাবে অনুসরণ না করে সর্বশেষ (পূর্ণাঙ্গ রায়) রায় দেন, যা প্রথমে দেওয়া রায়ের (শর্ট অর্ডার সংক্ষিপ্ত রায়) সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।’
শুনানিতে অবসরের পর রায়ে সই প্রসঙ্গ
অবসরের পর কোনো বিচারপতি রায়ে সই করলে তার আইনগত মূল্য কী হবে—এ প্রসঙ্গ ওঠে শুনানিতে। বিরতির পর শুনানিতে অংশ নিয়ে এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিবের অপর আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, রায় ঘোষণা ও রায়ে সই করা দুটি ভিন্ন বিষয়। রায় ঘোষণার সময় এ বি এম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতির পদে আসীন ছিলেন। সংক্ষিপ্ত রায়ে যা ছিল, পূর্ণাঙ্গ রায়ে তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
দেওয়ানি কার্যবিধি, আপিল বিভাগের রুলস ও সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ তুলে ধরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘শর্ট অর্ডারের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রায়ে যে পার্থক্য, তা পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করেছেন একজন বিচারপতি। এই বিচারপতিও বলেননি অবসরের পরে বিচারপতি খায়রুল হকের লেখা রায়টি অবৈধ হয়েছে। স্বাক্ষর পরে করেছেন বলে রায় অবৈধ বলা যাবে না। কারণ, অবসরের পর কোনো বিচারপতি রায়ে সই করতে পারবেন না কিংবা কত দিনের মধ্যে সই না করলে সেটি অবৈধ হবে, এমন বাধ্যবাধকতা আইনে নেই।’
রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘প্রকাশ্য আদালতে কোনো বিচারপতি যখন কোনো রায় দেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে দিলে ছোটখাটো দাড়ি, কমা, শব্দ বাদ পড়েছে—এগুলো ছাড়া যেকোনো পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই সেটি রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) ছাড়া হবে না, যার ওপর শুনানি চলছে।’
এ মামলায় সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি নামের একটি সংগঠন ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে যুক্ত হয়। ওই প্রসঙ্গে সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক বলেন, ‘অবসরের পর রায়ে সই করলে তা বাতিল বা অকার্যকর হবে না। যেদিন প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা করলেন, সেই তারিখ হচ্ছে মূল। এটি হচ্ছে রায়ের তারিখ। কবে সই করলেন, এটি প্রাসঙ্গিক নয়। আপিল বিভাগের রুলসে বলা আছে, এ ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধির (সিপিসি) বিধান কার্যকর হবে না। আপিল বিভাগের জন্য সিপিসি প্রযোজ্য নয়।’
মামলার পূর্বাপর
আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আপিল বিভাগের ২০১১ সালের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন পৃথক আবেদন (রিভিউ) করেন। সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে যুক্ত হয়।
রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৭ আগস্ট লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বিএনপির মহাসচিবের করা রিভিউ আবেদন থেকে উদ্ভূত আপিলের সঙ্গে অপর রিভিউ আবেদনগুলো শুনানির জন্য যুক্ত হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়। এ অনুসারে পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির করা আপিলের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের করা রিভিউসহ অপর রিভিউ আবেদন এবং বিএনপির মহাসচিবের আপিল শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে।
পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির করা আপিলের ওপর ২১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়। এরপর ইন্টারভেনার হিসেবে যুক্ত সংগঠনের পক্ষে শুনানি করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। এরপর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বাদল এবং এ এস এম শাহরিয়ার কবির শুনানি করেন। শাহরিয়ার কবিরের বক্তব্য উপস্থাপনের পর হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (রিভিউ আবেদনকারী) পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক শুনানি করেন। এরপর বিএনপির মহাসচিবের পক্ষে জয়নুল আবেদীন শুনানি শুরু করেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক বছর পর গত আগস্টে বিচারপতি খায়রুল হক গ্রেপ্তার হন। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।