মধুখালীতে তরমুজ বোঝাই ট্রাক খাদে, ড্রাইভার-হেলপার নিহত
Published: 15th, April 2025 GMT
ফরিদপুরের মধুখালীতে তরমুজ বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেছে। এতে ট্রাকের চালক ও তার সহকারী (হেলপার) নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের ঘোপঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মধুখালী উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে ট্রাক ড্রাইভার মো.
জানা যায়, খুলনা থেকে ঢাকা অভিমুখে যাওয়া তরমুজবোঝাই ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। সংঘর্ষের পর ট্রাকটি গাছের সঙ্গে আটকে যায় এবং চালক ও হেলপার দুজনেই গাড়ির ভেতরে আটকে পড়েন। খবর পেয়ে মধুখালী ফায়ার সার্ভিস, মাগুরা ফায়ার সার্ভিস ও করিমপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী যৌথ উদ্ধার অভিযানের পর দু’জনকে গাড়ি থেকে বের করা হয়। ঘটনাস্থলেই হেলপার মারা যান এবং গুরুতর আহত অবস্থায় চালককে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
করিমপুর হাইওয়ে থানার টিএসআই মো. আনোয়ার হোসেন সমকালকে জানান, নিহতদের মরদেহ মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। দুর্ঘটনার পর প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল, পরে উদ্ধার কাজ শেষে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?