শুভ হালখাতার ব্যানার ফেস্টুনে সাজানো ভূমি অফিসের চত্বর। আনা হয়েছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য গরু ও ঘোড়ার গাড়ি। মঙ্গরবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ফিতা কেটে হালখাতার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উদ্বোধনের পর লাইনে দাঁড়িয়ে জমির খাজনা দিচ্ছেন মালিকরা। খাজনা দেওয়ার পর চেয়ার টেবিলে বসিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে মিষ্টি, মোয়া মুড়ি। এ দৃশ্য কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা ভূমি অফিসের। 

বৈশাখে দোকানের বাকি তুলতে হালখাতার আযোজন করা হলেও এবার জমির খাজনা তুলতে করা হয়েছে হালখাতার আয়োজন। এমন হালখাতার আয়োজন করেছে নাগেশাবরী উপজেলা প্রশাসন। জমির মালিকরা খাজনা দিতে আসলে মিষ্টিমুখ করানো হচ্ছে। এতে খুশি তারা। এমন অভিনব হালখাতার ধারা অব্যাহত রাখলে বাংলাবর্ষের শুরুতে জমির খাজনা দিতে আগ্রহের কথাও জানান তারা।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার বাসিন্দা সোহরাব আলী জানান, আগে ভূমি অফিসে খাজনা পরিশোধ করতে গেলে হয়রানিতে পড়তে হতো। উপজেলা প্রশাসনের হালখাতা এসে হয়রানি ও দালাল ছাড়াই সরাসরি খাজনা দিতে পেরেছেন। ২ একর ৮৭ শতাংশ জমির জন্য তিন বছরের খাজনা ৬ হাজার ২২১ টাকা পরিশোধ করেছেন তিনি। 

আরো পড়ুন:

কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে রাজস্ব আয় ৪ কোটি টাকা

মডেল মসজিদের জনবল রাজস্বে আনার দাবি ইমাম সমিতির 

সন্তোষপুর ইউনিয়নের গাগলা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, সহজে জমির খাজনা দিতে পেরেছেন। আবার মোয়া, মুড়িসহ মিষ্টিও খেয়েছেন। এমন হালখাতা যেন প্রতি বছর অব্যাহত রাখা হয়। 

এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, বাংলা সন শুরুর দিকে হালখাতার মাধ্যমে জমির খাজনা তোলার প্রচলন থাকলে কালের আবর্তনে তা হারিয়ে যায়। মুলত সেই ভাবধারায় জমির মালিকদের উৎসাহের সহিত খাজনা দিতে এবং দেশের রাজস্ব বাড়াতে এ হালখাতার আয়োজন। এতে সাড়া পাওয়ার কথাও জানান আয়োজক কর্মকর্তা।

নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ জানান, ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখা হবে।

পহেলা বৈশাখের পর দিন নাগেশ্বরী উপজেলার ১৫টি ভূমি অফিসে একযোগে দিনব্যাপী হালখাতা অনুষ্ঠিত হয়।
 

ঢাকা/সৈকত/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ন গ শ বর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণের অভিযোগে হাকিমির বিচার দাবি ফরাসি কৌঁসুলিদের

২০২৩ সালে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল পিএসজি তারকা আশরাফ হাকিমির বিচার করার দাবি তুলেছেন ফরাসি কৌঁসুলিরা। মরক্কোর এই রাইটব্যাক অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।

নঁতের কৌঁসুলি অফিস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, তদন্তে নিয়োজিত বিচারককে ধর্ষণের এই অভিযোগ ফৌজদারি আদালতে তোলার অনুরোধ করেছেন ফরাসি কৌঁসুলিরা। কৌঁসুলি অফিস থেকে এএফপিকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিজের আদেশ কাঠামোর ভেতরে থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার এখন তদন্তে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর।’

আরও পড়ুননিষেধাজ্ঞা মেসির পিছু ছাড়ছে না, এবার নিষিদ্ধ হলেন তাঁর দেহরক্ষী৫৭ মিনিট আগে

গত মে মাসে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে পিএসজির ৫–০ গোলের জয়ে বড় অবদান ছিল হাকিমির। পিএসজির প্রথম গোলটি ২৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়ের। সর্বশেষ ২০২২ বিশ্বকাপেও প্রথম আরব দেশ হিসেবে মরক্কোর সেমিফাইনালে ওঠায় দারুণ অবদান ছিল হাকিমির। ২০২৩ সালের মার্চে ২৪ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

হাকিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি অভিযোগকারীকে প্যারিসের উপকণ্ঠে বুলান–বিয়ানকুতে অবস্থিত নিজের বাসায় আসার খরচ দেন। তখন হাকিমির স্ত্রী ও সন্তান ছুটি কাটাতে বাইরে ছিলেন। অভিযোগকারী সেই নারী এরপর পুলিশ স্টেশনে গিয়ে হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এবং তখন পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। সেই নারী আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করতে না চাইলেও কৌঁসুলিরা হাকিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

পুলিশকে অভিযোগকারী নারী তখন জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইনস্টাগ্রামে হাকিমির সঙ্গে তাঁর পরিচয়। সেই রাতে ট্যাক্সি করে হাকিমির বাসায় তিনি গিয়েছিলেন এবং ভাড়াটা পিএসজি তারকাই দেন। পুলিশকে সেই নারী বলেছিলেন, হাকিমি সম্মতি ছাড়াই তাঁর শরীর স্পর্শ করেন এবং তারপর ধর্ষণ করেন। পুলিশের এক সূত্রও তখন এএফপিকে এ কথা জানায়। এক বন্ধুকে ফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে আসতে বলেছিলেন সেই নারী। পরে সেই বন্ধু এসে তাঁকে নিয়ে যান।

আরও পড়ুনরিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে চান না কোনো খেলোয়াড়, ‘বেকায়দায়’ ক্লাব কর্তৃপক্ষ২ ঘণ্টা আগে

কৌঁসুলিরা গতকাল হাকিমির বিচারের দাবি তোলার পর তাঁর আইনজীবী ফ্যানি কোলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এএফপি। তাঁর মতে, কৌঁসুলিদের এ সিদ্ধান্ত, ‘মামলার উপকরণ বিচারে বোধগম্য নয় এবং অর্থহীন। আশরাফ হাকিমিসহ আমরা শান্তই আছি এবং আমরা প্রক্রিয়ার শুরুতে ছিলাম। আমরা অবশ্যই আপিলের সব রকম পথই বের করব।’ কোলিন দাবি করেন, তাঁর মক্কেল, ‘পরিকল্পিতভাবে অন্যায় দাবির শিকার’।

অভিযোগকারী নারীর আইনজীবী র‌্যাচেল–ফ্লোর প্রাদো এএফপিকে বলেছেন, ‘এই মামলার কোনো কিছুতেই অন্যায় দাবির আলামত নেই। আমার মক্কেল এ খবরে (হাকিমিকে বিচারের সন্মুখীন করা) অনেক স্বস্তি পেয়েছে।’

গত মৌসুমে পিএসজির চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল জয়ে দারুণ ভূমিকা ছিল হাকিমির

সম্পর্কিত নিবন্ধ