আমিরাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
Published: 16th, April 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আহমেদ বিন আলী আল সাইগ প্রধান অতিথি হিসেবে জমজমাট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আবুধাবির পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদের সভাপতিত্বে স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশে প্রথমবার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হচ্ছে। যার কারণে সবার মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। ড.
এ ছাড়াও, আমিরাতে নিযুক্ত এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম ৩২টি দেশের রাষ্ট্রদূতরাও এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরা হয় এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে।
এ সময় দুবাইতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেলসহ, বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাই কনসুলেটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার, বিমান, জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র স ব ধ নত অন ষ ঠ ন আম র ত
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।