প্রতিবন্ধী না হয়েও গোটা পরিবারের নামে ভাতা তোলার অভিযোগ
Published: 16th, April 2025 GMT
প্রতিবন্ধী না হয়েও গোটা পরিবারের নামে নিয়মিত ভাতা তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের নারী সদস্য মাকসুদা বেগমের বিরুদ্ধে। এই জনপ্রতিনিধিসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের নামে নিয়মিত সমাজসেবা অফিস থেকে তিন মাস পরপর প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করা হয়।
এমন অভিযোগ পাওয়ার পরই উপজেলা সমাজসেবা অফিস তদন্ত শুরু করেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মাকসুদা বেগম। তিন সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রী মিলিয়ে মোট পাঁচ জনের নামে গত সাত বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করছেন। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেককে তিন মাস পরপর ২,৫৫০ টাকা করে দেওয়া হয়। এ খবর এলাকায় জানান পর নতুন করে আলোচনার জন্ম হয়েছে।
রাইজিংবিডির হাতে আসা মাজসেবার প্রতিবন্ধী তালিকায় শ্যামপুর ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য মাকসুদা বেগম, তার স্বামী আব্দুল করিম, দুই মেয়ে মাসুমা আক্তার, তাসলিমা আক্তার ও ছেলে মাসুম বিল্লাহের নাম রয়েছে। অথচ তাদের কেউ প্রতিবন্ধী নয়। কিন্তু গত সাত বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করে আসছেন মাকসুদা বেগম।
অভিযোগের বিষয়ে জনপ্রতিনিধি মাকসুদা বেগম কোন মন্তব্য করেনি। তবে ওই পরিবারের প্রতিবন্ধীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, “শুধু মাকসুদা বেগমের দুটি আঙ্গুল জোড়া লাগানো। তার পরিবারে কেউ সাদৃশ্যমান প্রতিবন্ধী নেই। তবে প্রতিবন্ধী তালিকায় তাদের পরিবারের পাঁচজনের নাম রয়েছে।”
শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, “প্রতিবন্ধী না হয়েও জনপ্রতিনিধি ও তার পরিবারের নামে ভাতা উত্তোলন করা হয়। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই একজনকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিবন্ধী যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে তালিতা প্রস্তুত করে আমাদের দেওয়া হয়। আমরা শুধু তাদের ভাতার টাকাগুলো দিয়ে থাকি। তারপরেও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। অভিযোগ সঠিক হয়ে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী এ অভিযোগের বিষয়ে অবগত। তিনিও অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
ঢাকা/শিয়াম/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র র উপজ ল বগঞ জ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।