পাকিস্তানের কাছে ৪.৩২ বিলিয়ন ডলার ফেরত চাইল বাংলাদেশ
Published: 17th, April 2025 GMT
পাকিস্তানের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন এ কথা জানান।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে স্থবির সম্পর্ক জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই এগিয়ে নেবে বাংলাদেশ। ঐতিহাসিকভাবে অমীমাংসিত ইস্যু সমাধানের জন্য আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
খুব শিগগিরই বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফ্লাইট চালু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন গতি আনতে বৈঠকে জোর দিয়েছে উভয় দেশ।
বুধবার ঢাকায় আসেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া অণু বিভাগ) ইশরাত জাহান।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর ঢাকার সঙ্গে স্থবির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তা এগিয়ে নিতে মনোযোগ দিচ্ছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা–বাণিজ্যসহ সহযোগিতার নানা ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে প্রায় ১৫ বছর পর বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক।
মূলত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলতি মাসের শেষে ঢাকা সফর করার কথা। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের বিষয়বস্তু চূড়ান্ত করতেই দেশটির সচিব ঢাকা সফরে এসেছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ক স ত ন র পরর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।