কালীগঞ্জে ট্রেন থেকে পড়ে আহত শিশু, পরিবারের সন্ধান চায় পুলিশ
Published: 18th, April 2025 GMT
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের কামারবাড়ী এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে গুরুতর আহত অবস্থায় ১৩ বছর বয়সী এক শিশু উদ্ধার হয়েছে। বর্তমানে সে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আহত ওই শিশু হাসপাতালে নিজের নাম লিপন, বাবার নাম আয়নাল ও মার নাম শিল্পী বলে জানিয়েছে। গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় সে থাকে বলেও জানায়। তবে, তার বিস্তারিত ঠিকানা ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলরুটের কামারবাড়ী এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে শিশুটি আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আরো পড়ুন:
টঙ্গীর ফ্ল্যাটে ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যা
ভুট্টা ক্ষেতে শিশুর মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা
কালীগঞ্জ থানার ওসি বলেন, “আমরা শিশুটির পরিচয় শনাক্তে কাজ করছি। যদি কেউ তার পরিবার বা স্বজনদের সম্পর্কে কোনো তথ্য জানেন, তারা যেন দ্রুত কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা কালীগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করেন।”
ঢাকা/রফিক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু এ বছরই: রুশ রাষ্ট্রদূত
চলতি বছরের শেষ নাগাদ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ম্যান্টিতস্কি। রোববার রাশিয়া দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ বছর রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ের ৮০ বছর উদযাপন করছে। একইসঙ্গে সোভিয়েত পারমাণবিক শিল্প প্রতিষ্ঠারও ৮০ বছর। এই গৌরবময় সময়ে রূপপুর প্রকল্পের অগ্রগতি আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।’ তিনি জানান, রুশ ও বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের যৌথ প্রচেষ্টায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং প্রথম ইউনিট উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর প্রকল্প শুধু প্রযুক্তিগত নয়, রাশিয়া-বাংলাদেশ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ জ্বালানি খাতে একটি নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা ‘রোসাটম’ এর সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং বর্তমানে প্রকল্পের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক চালুর প্রস্তুতিতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়ার প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন রয়েছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর অন্যতম।