ট্রান্সজেন্ডারদের পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ করতে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে অসাংবিধানিক বললেন আদালত
Published: 19th, April 2025 GMT
ট্রান্সজেন্ডার ও নন-বাইনারি (লিঙ্গ নির্দিষ্ট নয়) মার্কিনদের পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ করতে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিকে অসাংবিধানিক বলে আদেশ জারি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক ফেডারেল বিচারক। গতকাল শুক্রবার তিনি এ আদেশ দেন। তবে তিনি সারা দেশে এ নীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পাসপোর্ট–সংক্রান্ত নীতি গ্রহণ করেছে। এর বিরুদ্ধে সাতজন ট্রান্সজেন্ডার মামলা করেছেন। বোস্টনের ডিস্ট্রিক্ট বিচারক জুলিয়া কোবিক এ নীতির ওপর প্রাথমিক স্থগিতাদেশ জারি করেন। এর ফলে মামলার সাতজন বাদীর মধ্যে ছয়জনের ওপর এই নীতি প্রয়োগ করা যাবে না।
কোবিক বলেন, এই পাসপোর্ট নীতি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত সংশ্লিষ্ট নির্বাহী আদেশ লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্য তৈরি করে। এটি ট্রান্সজেন্ডার মার্কিনদের প্রতি ‘বিদ্বেষ’ থেকে উৎসারিত, যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে রক্ষিত সমান সুরক্ষার নীতিমালার লঙ্ঘন।
ছয়জন বাদীর লিঙ্গ পরিচয়সহ পাসপোর্ট পাওয়ার অনুমতি দিতে পররাষ্ট্র দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন কোবিক। যদিও তিনি বলেছেন, মামলা বাদীরা দেখাতে পারেননি, কেন পুরো দেশে এই নীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত।
মামলায় বাদীদের পক্ষে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের আইনজীবী লি নৌলিন-সোল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যাদের ওপর বিভ্রান্তিকর ও অসাংবিধানিক এই নীতির প্রভাব পড়বে, তাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে বিচারকের আদেশ কার্যকর করতে আমরা সাধ্যমতো সবকিছু করব, যাতে আমরা সবাই নিজেদের মতো বাঁচতে পারি।’
এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি পররাষ্ট্র দপ্তর ও হোয়াইট হাউস।
বিচারকের ওই আদেশে পররাষ্ট্র দপ্তরকে তাদের নীতিমালা পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কেবল সেসব পাসপোর্ট ইস্যু করতে বলা হয়, যা ‘ধারকের (জন্মগত বা জৈবিকভাবে নির্ধারিত) লিঙ্গ পরিচয়কে যথাযথভাবে প্রতিফলিত করে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ২২৪
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭৭ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।