ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির দ্বিতীয় দিনের সংলাপ শুরু
Published: 20th, April 2025 GMT
সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসেছে বিএনপি।
আজ রোববার বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই সংলাপ শুরু হয়। সংলাপে বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধিদলে অংশ নিচ্ছে।
বিএনপির এই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন—দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ ও আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের সংলাপে প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, মৌলিক অধিকার, আইন বিভাগের সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়। সেদিন দিনভর সংলাপ চললেও আলোচনা শেষ হয়নি। তাই আজ আবার আলোচনা হচ্ছে।
দ্বিতীয় দিনের সংলাপ শুরুর আগে সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমাদের আলোচনা যে পর্যায়ে ছিল, আজকে সেখান থেকে পুনরায় আলোচনা শুরু হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, আজকের আলোচনায় নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, সংবিধান সংস্কারের মতো বিষয় থাকবে। তাঁরা আশা করছেন, বিকেলের মধ্যে সবগুলো আলোচনা সম্পন্ন হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বৈঠকে রয়েছেন কমিশনের সদস্য কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র র সদস য ঐকমত য
এছাড়াও পড়ুন:
কমিটি গঠন, প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, আন্দোলনরত বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবিগুলো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত আর কোনো ধরনের আন্দোলনে না নামার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দুই পক্ষ।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষসহ মোট ৬০ জন অংশ নেন।
উপদেষ্টা জানান, প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের দাবিগুলো যাচাই করে সুপারিশ দিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুই পক্ষের দাবিগুলো খানিকটা পরস্পরবিরোধী। একজনের দাবি মেনে নিলে আরেকজন অসন্তুষ্ট হবেন। তাই, কীভাবে উভয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা যায়, সেটাই মূল লক্ষ্য। নিজেদের থেকে নয়, বরং তাদের পরামর্শের ভিত্তিতেই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপদেষ্টা জানান, কমিটি কাজ করবে—কীভাবে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করা যায়। অনেকটা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মতো। ওনারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, কমিটির সুপারিশ না আসা পর্যন্ত কোনো ধরনের আন্দোলন বা জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কর্মসূচিতে তারা যাবেন না।
ঢাকা/এএএম/রফিক