চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় রাফজুল হক (৬০) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত রোগীর স্বজনরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হারুন মাসুদকে মারধর করেন।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। 

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন লিংকন বলেন, “জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী চিকিৎসায় কোনো অবহেলা করেননি। অন্যায়ভাবে কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হারুন মাসুদকে মারধর করা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেল, হাসপাতাল থেকে শিশু নিয়ে পালাচ্ছেন নারী

কালীগঞ্জে কুকুরের কামড়ে ৭ দিনে আহত অর্ধশতাধিক মানুষ

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে যান রাফজুল হক। চিকিৎসক হাবিবা সুলতানা হ্যাপি রোগীর শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন স্বজনদের। তিনি জরুরি বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হারুন মাসুদকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিয়ে রোগীকে দ্রুত ছেড়ে দিতে বলেন।

কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হারুন মাসুদ অন্য রোগীদের নিয়ে ব্যস্ত থাকায় রাফজুল হককে চিকিৎসা দিতে দেরি হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে রাফজুল মারা যান। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হারুন মাসুদকে মারধর করেন মারা যাওয়া রোগীর দুই ছেলে শহিদুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

মারা যাওয়া রাফজুলের ছেলে শহিদুল ইসলাম জানান, তার বাবার চিকিৎসায় অবহেলা করা হয়েছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও কোনো চিকিৎসা দেননি জরুরি বিভাগের দায়িত্বরতরা। এ কারণেই বাবাকে হারিয়েছেন তারা। চিকিৎসক সময়মতো রোগীকে সেবা দিলে মৃত্যু হতো না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা.

একেএম শাহাবুদ্দিন জানান, রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে হঠাৎ মৃত্যুর বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত।

গোমস্তাপুর থানার ওসি রইস উদ্দিন জানান, “পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর অভ য গ স ব স থ য কমপ ল ক স ম ড ক ল অফ স র চ ক ৎসক ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ