স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বন্ধের পক্ষে বিএনপি
Published: 20th, April 2025 GMT
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এমন প্রস্তাবের পক্ষে মত দিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভার মতো স্তরগুলোতে যেকোনো সংস্কারের পক্ষে তাদের অবস্থান রয়েছে। কিন্তু সেই পরিবর্তন যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে হবে।
আজ রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে দ্বিতীয় দিনের সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি প্রতিনিধিদল। বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়ে দুপুরে একটি বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। বৈঠকে শেষে বিকেলে একই জায়গায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার বিভিন্ন বিষয় সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সেখানে তিনি স্থানীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির ওই অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।
সংসদ সদস্যদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার সুযোগ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আস্থা ভোট, অর্থনৈতিক বিষয়াবলি, সংবিধান সংশোধন ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন না। অন্য বিষয়গুলোতে সংসদ সদস্যদের ভোট দেওয়ার স্বাধীনতার পক্ষে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা থাকলেও সংস্কারের প্রশ্নে কমিশনের সাথে আলোচনা সম্পন্ন হয়নি। ২২ তারিখে আমরা আবার তাঁদের সঙ্গে বসব। সেদিনের বৈঠকে সংস্কারের সব প্রশ্নে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো যাবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও পঞ্চদশ সংশোধনী প্রসঙ্গ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ পদ্ধতি এবং প্রধান বিচারপতি নিয়ে আরও আলোচনা চলবে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।
বিচার বিভাগ ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী আলোচনায় চূড়ান্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কারের বিষয়ে ইতিবাচকভাবে কাজ করছি। রাষ্ট্রের গণতন্ত্র রক্ষায় বিএনপি সরকার ও কমিশনকে সহযোগিতা করতে চায়।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ল হউদ দ ন আহমদ সরক র সদস য ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচক্ষেতে গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন্দ পয়েন্ট এলাকায় মরিচক্ষেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জমির মালিক সাব্বির আহমদ গ্রেনেডটি দেখতে পেরে পুলিশকে জানান। পুলিশ সেনাবাহিনীকে জানালে শুক্রবার দুপুরে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সেটি নিষ্ক্রিয় করে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার সাব্বির আহমদের জমিতে একজন কৃষক কাজ করা অবস্থায় গ্রেনেডটি প্রথম দেখতে পান। পরে অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখালে তারা বুঝতে পারেন এটি গ্রেনেড জাতীয় কিছু এবং তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি পরীক্ষা করেন এবং নিশ্চিত হন যে এটি একটি সক্রিয় k36 অথবা M36 মডেলের গ্রেনেড। এরপর তারা নিরাপদ দূরত্বে গ্রেনেডটি নিয়ে যান এবং তা নিষ্ক্রিয় করেন।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মো. মুখলেছুর রহমান বললেন, স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের মরিচ ক্ষেতে গ্রেনেডটি দেখে আমাদেরকে খবর দেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে অবগত করি। তারা শুক্রবার এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেন।
শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, এটি k36 অথবা M36 মডেলের একটি সক্রিয় গ্রেনেড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই মডেলের গ্রেনেড ব্যবহৃত হতো। এটি এতোদিন মাটি ছাপা ছিলো এখানে অথবা অন্য জায়গা থেকে কেউ এনেছে। পুলিশ আমাদের জানানোর পর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সফলভাবে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।