ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় এবার এক চিকিৎসকের বাড়িতে ভবনের গ্রিল কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোরে বাহ্রা ইউনিয়নের বলমন্তরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পরিবারের দাবি, ডাকাত দল বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে।

আরও পড়ুনদোহারে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি, ৩৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ টাকা লুট১৫ এপ্রিল ২০২৫

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা যায়, আজ দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ৮ থেকে ১০ জনের ডাকাত দল ওই বাড়িতে হানা দেয়। তারা পাকা ভবনটির গ্রিল কেটে একটি কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে বাড়ির মালিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও শাশুড়িকে জিম্মি করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এ সময় আলমারি ভেঙে ৫০ হাজার টাকা, ৬৫০ পাউন্ড ও ১১ ভরি স্বর্ণ লুট করা হয়। তবে মুখোশ পরার কারণে ডাকাতদের কাউকে চেনা যায়নি। খবর পেয়ে আজ ভোরে নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

আরও পড়ুনদোহারে আবারও ডাকাতি, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও সাড়ে ৫ লাখ টাকা লুট১৬ এপ্রিল ২০২৫

এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, খবর পেয়েই পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের আটক করতে পুলিশ তৎপর আছে।

এর আগে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল দোহারের দুটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই দুই বাড়ি থেকে প্রায় ৪৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় ৬ লাখ টাকা লুট হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স বর ণ ল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ