ক্রাউন সিমেন্টের পরিচালকদের ২ কোটি শেয়ার হস্তান্তর, পেয়েছেন যারা
Published: 23rd, April 2025 GMT
পুঁজিবাজারে সিমেন্ট খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসির চারজন উদ্যোক্তা পরিচালক তাদের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের কাছে প্রায় ২ কোটি শেয়ার হস্তান্তর করেছেন। ওই শেয়ারগুলো তারা ঘোষণা ছাড়াই বিক্রি করতে পারবেন।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসির উদ্যোক্তা পরিচালকরা হলেন- মিজানুর রহমান মোল্লা, আলমগীর কবি, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও মোল্লা মোহাম্মদ মজনু।
আরো পড়ুন:
হামি ইন্ডাস্ট্রিজের চার বছরের আর্থিক হিসাব তদন্তে কমিটি
অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়
পুঁজিবাজারের সমস্যা সমাধানে অ্যাকশন প্ল্যান দেওয়ার নির্দেশ
পরিচালক মিজানুর রহমান মোল্লা তার স্ত্রী আনোয়ারা রহমানকে ৩০ লাখ ও মেয়ে মুসসারাত মেহেজাবিনকে ৩০ লাখ শেয়ার দিয়েছেন। তিনি দুজনকে দিয়েছেন মোট ৬০ লাখ শেয়ার।
পরিচালক আলমগীর কবির পরিচালক তার ছেলে সোলায়মান কবিরকে ২৯ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার, স্ত্রী কামরুন নাহারকে ১৫ লাখ, মেয়ে রায়সা কবিরকে ৫ লাখ, ছেলে রায়হানুল কবিরকে ৫ লাখ ও মেয়ে নুসাইবাহ কবিরকে ৫ লাখ শেয়ার দিয়েছেন। তিনি মোট ৫৯ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার দিয়েছেন।
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম- এই পরিচালক তার স্ত্রী মাসুমা বেগমকে ১৫ লাখ, মেয়ে সাদমান সায়কা সেফাকে ১৫ লাখ, ছেলে সালেহিন মুশফিককে ১৫ লাখ শেয়ার দিয়েছেন। তিনি দিয়েছেন মোট ৪৫ লাখ শেয়ার।
মোল্লা মোহাম্মদ মজনু পরিচালক হিসেবে তার ছেলে আতিক মুর্শেদকে ৩০ লাখ শেয়ার দিয়েছেন।
কোম্পানিটির এই চারজন পরিচালক মোট ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার হস্তান্তর করেছেন।
ঢাকা/এনটি/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ ১৫ ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব