সন্তানকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল পরীমণির বিরুদ্ধে। গত ৩ এপ্রিল ওই গৃহকর্মী পিংকি আক্তার অভিনেত্রীর নামে লিখিত অভিযোগ করেন ভাটারা থানায়। পরে গতকাল আদালতে করেন মামলা। এর একদিন পর সেই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করলেন পরীমণি।
আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলমের আদালতে এ মামলা করেন তিনি।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ৮ জুলাই এ বিষয়ে তদন্ত করে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পেশকার মো.
পরীমণির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মহসিন রেজা, আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব। এ সময় পরীমণিও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার পরীমণির নামে মামলা করেন গৃহকর্মী পিংকি আক্তার। মামলায় উল্লেখ করা হয়, পরীমণির একটি বাচ্চার দেখাশোনার দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলে এজেন্সি হতে বাদীকে আসামিদ্বয়ের বাসায় নিয়োগ প্রদান করা হলেও বাদীকে দুটি বাচ্চার দায়িত্ব পালন করতে হতো। এছাড়াও বাদীকে দিনে ও রাতে উভয় সময় বাসার রান্নার কাজ করতে হতো।
গত ২ এপ্রিল ১ নম্বর আসামি তার মেকআপ রুম হতে মাদক গ্রহণ করে বাচ্চার রুমে এসে বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। বাদী গালিগালাজ কেন করছেন জানতে চাইলে ১ নম্বর আসামি বলে, তুই আমার বাচ্চার জন্য দুধ কেন তৈরি করছিস? এখন তুই ওকে সলিড খাবার দিবি। বাদী বলেন, বাচ্চার খাওয়ার রুটিন অনুসারে এখন দুধ খাওয়ানোর কথা, তাই আমি দুধ তৈরি করেছি। একপর্যায়ে বাদীকে মারধর করেন ১ নম্বর আসামি পরীমণি।
আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী একাধিকবার বিজ্ঞ আদালতে হাজিরার তারিখ, জিডির কার্যক্রম সম্পর্কে তদন্তকারী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো প্রকার সদুত্তর পাননি। যেহেতু বাদী থানায় জিডি দায়েরের পর থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ বাদীকে কোনো প্রকার সহযোগিতা প্রদান না করায় সাক্ষীগণের সাথে আলোচনা করে বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শক্রমে এখতিয়ারাধীন অত্র বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন।
মামলায় পরীমণিকে ১ নাম্বার আসামী আসামি করা হয়। দ্বিতীয় আসামি হিসেবে নাম আনা হয় সৌরভের। আদালত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ হকর ম
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল