আইনজীবির বাড়ি ডাকাতির পরদিনই অস্ত্রের মুখে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
Published: 25th, April 2025 GMT
নাটোরে এক আইনজীবীকে কুপিয়ে তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার একদিন পরই এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মুখোশধারী ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও মোবাইলফোন লুট করে নিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার হালসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা জাকির হোসেন সোনালী ব্যাংক মানিকগঞ্জ শাখায় কর্মকর্তা আছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ৮ থেকে ৯ জনের মুখোশধারী একদল ডাকাত জাকির হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে। ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাবা আইয়ুব আলী ও তার মাকে বেঁধে ফেলে। পরে ডাকাতদল একে একে চারটি কক্ষ তছনছ করে। এ সময় ঘরে থাকা প্রায় আট ভরি স্বর্ণালংকার ও কয়েকটি মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িত ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য আমরা অনুসন্ধান পরিচালনা করছি। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে নাটোরের লালপুর উপজেলায় অ্যাডভোকেট সাধন চন্দ্র দাসকে কুপিয়ে তার বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ মূলত আইনজীবীদের পেশাজীবনের অনুসরণীয় বিধিমালা। এ আইন থেকে আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় দুটি প্রশ্ন আসবে। উত্তর দিতে হবে একটি। নম্বর থাকবে ১০।
প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আইনটি কেমন হতে পারে। মূলত বার কাউন্সিলের গঠন, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি, মক্কেলের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। বাস্তবধর্মী ও পেশাজীবনে অতি চর্চিত একটি আইন হলো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২। এ আইন থেকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।
যেমন বার কাউন্সিল কীভাবে গঠিত হয়, বার কাউন্সিলের কার্যবালি কী, সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন, কতগুলো কমিটি রয়েছে, কমিটির কাজ কী কী—এগুলো পড়তে হবে। অনেকেই আছে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি ভালো করে রপ্ত করতে হবে। এমন প্রশ্ন হরহামেশা পরীক্ষায় আসে।
এ ছাড়া বার ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যাবলি, আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের জন্য কী কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, বার কাউন্সিল কি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে—বিষয়গুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। অনুচ্ছেদ ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩২ এবং বিধি ৪১, ৪১ক ও ৫০–এ এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেগুলো ভালো করে পড়তে হবে। অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, একজন আইনজীবী হিসেবে আরেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর জানতে হবে। এসব বিষয় থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে।
পেশাগত বিধি অংশে রচনামূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন পেশাগত বিধি এবং নীতিমালার আলোকে আদালতের প্রতি, মক্কেলের প্রতিসহ আইনজীবীদের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করতে বলা হয়। বর্তমান ঢাকা বারসহ বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোশিয়েশনে এডহক কমিটি রয়েছে। এডহক বার কাউন্সিলের গঠন ও ফাংশনস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। এগুলো ভালো করে পড়তে হবে।
অনেক সময়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরসংক্রান্ত মুসাবিদা করতে দেওয়া হয়। তাই এই মুসাবিদা নিয়মিত অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন, মামলার মুসাবিদা ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মুসাবিদার ধরন কিন্তু এক নয়। তাই যেকোনো ভালো একটি বই থেকে ফরমেটটি দেখে নেবেন এবং অনুশীলন করবেন। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এ আইন থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন রিপিটও হয়।
একটি বিষয় মনে রাখবেন, আইনটি সহজ বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ, কৃতকার্য হওয়ার জন্য এই ১০ নম্বর অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।