একই ঘটনায় দুইবার শাস্তি—তাওহিদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিসিবির সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম ইকবাল। আজ মিরপুর শেরে বাংলায় বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক দীর্ঘ বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুখ খোলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।  

বিসিবিতে সকাল থেকেই জমজমাট পরিবেশ। একে একে হাজির হন তামিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাঈম শেখ, শরিফুল ইসলামরা। নিজেরা একদফা আলোচনার পর শেষ দিকে যুক্ত হয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও। পরে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়ে হৃদয়ের শাস্তি ইস্যুতে অসন্তোষের কথা জানান তামিম।  

তামিম বলেন, ‘প্রথমে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো, কেউ কিছু বলেনি। পরে এক ম্যাচ কমিয়ে দেয়া হলো। আবার দুই ম্যাচ খেলার পর নতুন করে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা—পুরো ব্যাপারটাই কোনো সেন্স করে না। এটা হাস্যকর।’  

তিনি আরও বলেন, ‘মোহামেডান থেকে প্রেশার দিয়ে খেলানো হয়েছে কী হয়নি এটা গুরুত্বপূর্ণ না। বড় কথা হলো বিসিবি কি তাকে খেলার অনুমতি দিয়েছে? যদি দিয়ে থাকে, তাহলে সে শাস্তি ভোগ করেছে। তাহলে কীভাবে আবার একই অপরাধে শাস্তি পাবে? বিষয়টা আমরা বোর্ড সভাপতিকে বুঝিয়েছি।’  

তাওহিদ হৃদয় ডিপিএলে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণ করায় প্রথমে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন। পরে বাইলজ পরিবর্তন করে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় নামিয়ে আনা হয় শাস্তি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তে তীব্র সমালোচনা হলে, লিগের টেকনিক্যাল কমিটি আগের রায়ই বহাল রাখে। ফলে ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার আবারও এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হন। যদিও গত ২০ এপ্রিল অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে মোহামেডানের হয়ে মাঠে নেমে নেতৃত্বও দেন তিনি।

ঘটনা শুরু হয়েছিল ১২ এপ্রিল। সেদিন মোহামেডান ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া না দিয়ে আউট দেননি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত ও তানভীর আহমেদ। তখনই আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়ান হৃদয়। এতে তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয় এবং চার ডিমেরিট পয়েন্টসহ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

পরবর্তীতে আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় আরও এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় হৃদয়কে। নিয়ম অনুযায়ী সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচে মাঠের বাইরে থাকার কথা ছিল তার, কিন্তু এক ম্যাচ পরই আবার খেলার সুযোগ পান তিনি, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিনিয়র ক্রিকেটাররাও।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এক ম য চ আম প য় র

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের ছুটি শেষে খুলেছে পুঁজিবাজার

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের বন্ধ থাকার পর রবিবার (১৫ জুন) খুলেছে দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন সকাল ১০টা শুরু হওয়া লেনদেন চলবে দুপুর ২টা ২০মিনিট পর্যন্ত।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ঈদের আগে সরকারি ছুটির সঙ্গে মিল রেখে পুঁজিবাজার ১০ দিন বন্ধ থাকার ঘোষণা দেয় ডিএসই ও সিএসই। সে হিসেবে গত ৫ জুন থেকে শুরু হয়েছিল ঈদের ছুটি। সরকার ঈদের ছুটির সঙ্গে জুনের ১১ ও ১২ জুন ছুটি ঘোষণা করে এবং পরের ২ দিন অর্থাৎ ১৩ ও ১৪ জুন শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিন দেশের উভয় পুঁজিবাজারের লেনদেন বন্ধ ছিল।

রবিবার পুঁজিবাজারে লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে। এ লেনদেন চলবে দুপুর ২টা ২০মিনিট পর্যন্ত চলবে। এদিন থেকে পোস্ট ক্লোজিং দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত হবে। এছাড়া, অফিস সময় হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “কোনো জটিলতা ছাড়াই স্বাভাবিক নিয়মে ডিএসইতে ঈদ পরবর্তী লেনদেন শুরু হয়েছে।”

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ