ইতালির রোমে পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ২টা ১৫ মিনিটে রোমে পৌঁছান তিনি। রোমের লিওনার্দো দা ভিঞ্চি বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান ইতালি ও ভ্যাটিকানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা।
এর আগে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কাতারের রাজধানী দোহা থেকে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট) রোমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা
বাংলাদেশ সফর স্থগিতের অনুরোধ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ইতালিতে পৌঁছানোর এক ঘণ্টা পর প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে যাবেন এবং পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩০মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টা আবার সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন।
প্রেস উইংয়ের তথ্যমতে, অধ্যাপক ইউনূস আগামী রবিবার (২৭ এপ্রিল) রোমের লিওনার্দো দা ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন এবং সোমবার সকালে দেশে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শাহবাজ শরিফ–জয়শঙ্করকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন, কী বললেন
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। গতকাল বুধবার দুজনকে ফোন করেন তিনি। এ সময় হামলার ঘটনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন রুবিও।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনকলে পেহেলগামে হামলার ‘নিন্দা জানানোর প্রয়োজনীতা নিয়ে’ কথা বলেন রুবিও। একই সঙ্গে ‘অযৌক্তিক’ এই হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগীতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে করা আলাদা একটি ফোনকলে নয়াদিল্লির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি পেহেলগামে হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত আছে বলে ভারত যে অভিযোগ তুলেছে এবং প্রতিশোধের যে হুমকি দিচ্ছে—এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান তিনি।
ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় যে প্রাণহানি হয়েছে, তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (রুবিও)। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করার যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা–ও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’