বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন চাকরির সুযোগ
Published: 26th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ১টি পদের জন্য দেওয়া চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই ১ পদে মোট ২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। অনলাইনে পদের জন্য আবেদন শুরু হবে আগামীকাল ২৭ এপ্রিল থেকে। আবেদন ফি ১১২ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। আবেদনকারীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্মতারিখ, নিজ জেলাসহ অন্যান্য সব তথ্য সংশ্লিষ্ট সনদে যেভাবে লেখা রয়েছে, অনলাইন আবেদন ফরমে এবং পরবর্তী সময়ে হুবহু সেভাবে লিখতে হবে। মুদ্রিত/হস্তলিখিত কোনো প্রকার আবেদন বা কাগজপত্র ডাকযোগে বা অন্য কোনো উপায়ে প্রেরণ করা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান বিধিবিধান এবং পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট বিধিবিধানে কোনোরূপ সংশোধন হলে তা অনুসরণ করা হবে। কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদের সংখ্যা হ্রাস/বৃদ্ধি এবং বিজ্ঞপ্তি বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করেন। লিখিত/মৌখিক/ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কোনো প্রকার টিএ/ডিএ প্রদান করা হবে না। লিখিত, মৌখিক ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি পরবর্তী সময় বিএইচবিএফসির নোটিশ বোর্ড, ওয়েবসাইট এবং প্রার্থীদের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে এসএমএসে জানানো হবে। লিখিত/ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। অসম্পূর্ণ, ত্রুটিপূর্ণ ও বিলম্বে প্রাপ্ত আবেদনপত্র সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে। নিয়োগ–সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। চাকরির আবেদন ফরমে (Applicant's Copy) সব শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করতে হবে। অন্যথায় চাকরির জন্য নির্বাচিত হলে চাকরির আবেদনে উল্লিখিত সনদ ব্যতীত চাকরির আবেদনের পূর্বে অর্জিত অন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুনবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬৬২২৩ এপ্রিল ২০২৫পদের নাম ও পদসংখ্যা১.
ডাটা-এন্ট্রি অপারেটর
পদসংখ্যা: ২০
গ্রেড: ১৬
বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা
(ক) কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ;
(খ) কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং
(গ) কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ এবং ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে Standard Aptitude Test–এ উত্তীর্ণ হতে হবে।
আবেদনে বয়সসীমা০১.০৪.২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে কোনো অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না। সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আবেদন করতে হবে। চাকরিরত প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার সময় নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনাপত্তিপত্রের মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে।
আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস থেকে নতুন সিলেবাস২৫ এপ্রিল ২০২৫আবেদনের নিয়মআগ্রহী প্রার্থীদের ওয়েবসাইটটি থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
আবেদন শেষ কবেআগামী ২৬ মে পর্যন্ত আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন জমা দিতে পারবেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ য ক পর ক ষ র জন য চ কর র
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষক রায়হান অভিযুক্ত হলেও নাম নেই অস্ত্র ব্যবসায়ীর
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে গত বছরের ৪ মার্চ শিক্ষার্থীকে গুলির একটি মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ডিবি। এতে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীকে গুলি করা কলেজের কমিউনিটি মেডিসিনের প্রাক্তন শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রে নাম নেই যার কাছ থেকে ডা. রায়হান অস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন সেই এস এস আল হোসাইন ওরফে সোহাগের। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার নওদাপাড়ার সোহাগের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র-বিস্ফোরক ও নাশকতার একাধিক মামলা আছে।
গত বছরের ৪ মার্চ ব্যাগভর্তি অস্ত্র-গুলি নিয়ে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখান শিক্ষক রায়হান। তার দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে লক্ষ্য করে শিক্ষক রায়হান গুলি করেন। শিক্ষার্থী তমাল বাম উরুতে গুলিবিদ্ধ হলেও বর্তমানে সুস্থ। ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ব্যাগভর্তি অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন শিক্ষক রায়হান। তাঁর ব্যাগে লাইসেন্সবিহীন দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি জাপানি সামুরাই, ১০টি বার্মিজ ছুরি ও ৭৮ রাউন্ড তাজা গুলি পাওয়া যায়। ডা. রায়হানের বিরুদ্ধে সে সময় আহত শিক্ষার্থী তমালের বাবা বগুড়ার আবদুল্লাহ আল আমিন হত্যাচেষ্টা ও ডিবি পুলিশ বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হন রায়হান। যদিও পরবর্তী সময়ে জামিন নিয়ে রায়হান এখন পলাতক। ঘটনার পর থেকে উধাও অস্ত্র ব্যবসায়ী সোহাগও।
পুলিশ সূত্র জানায়, ডা. রায়হান সিরাজগঞ্জ আদালতে স্বীকারোক্তি ও জবানবন্দি দেন। তিনি জানান, সোহাগের কাছ থেকেই সব অস্ত্র কিনেছেন। এরপর অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে সোহাগ ও রায়হানের বিরুদ্ধে মামলা করেন সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের সাবেক এসআই ওয়াদুত আলী। অভিযোগ উঠেছে, অভিযোগপত্র থেকে সোহাগের নাম বাদ দিয়েছেন ডিবির বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল ইসলাম ও ইউনিট ওসি ইকরামুল হোসাইন। ডিবির তদন্ত ও দাখিলকৃত অভিযোগপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাঁর বাবা।
সিরাজগঞ্জ ডিবির এসআই নাজমুল হক নতুন তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলেও তিনি এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তাঁর ইউনিটপ্রধান বর্তমান ওসি ইকরামুল হোসাইন আজ ২৯ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার কাছে থেকে পুলিশ পদক নিতে ঢাকায় রয়েছেন। তিনি ফোনে দাবি করেন, ডা. রায়হান আদালতে ১৬৪ ধারায় বিচারকের সামনে সোহাগের নাম বললেও তাঁর বাবা বা গ্রামের নাম জানাতে পারেননি। মামলার বাদী এজাহারে যে সোহাগের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করেন, তিনি এতে জড়িত নন। বিএনপি করার কারণে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করতেই আগের সরকারের সময় সাবেক এসপি ও ওসি সোহাগকে জড়িয়েছেন। শিক্ষক রায়হান যে সময় অস্ত্রগুলো কিনেছিলেন, তার আগে থেকেই সোহাগ ঢাকা ও ভারতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ইমিগ্রেশন ও হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
এ বিষয়ে সাবেক এসপি আরিফুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও মামলার বাদী ডিবির সাবেক এসআই ওয়াদুত আলী বলেন, শিক্ষক রায়হানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সোহাগের কথোপকথন ও লেনদেনের বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায়। তাই এজাহারে সোহাগের নাম ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করা হয়।
সমকালের অনুসন্ধানেও সাবেক এসআই ওয়াদুত আলীর এজাহার অনুযায়ী সোহাগের ফোন নম্বরের কল ডিটেইল এবং এনআইডি নম্বর সংগ্রহ করা হয়। সেখানে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সোহাগেরই তথ্য ও ছবি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে অজ্ঞাত স্থান থেকে শিক্ষক রায়হান শরীফ গতকাল ফোনে বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। ডিবির চার্জশিটের বিষয়টি জানি না।’
মামলার সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইব্রাহিম হোসেন বলেন, চার্জশিট থেকে সোহাগকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি আত্মঘাতী ও তদন্তের নীতিমালার বাইরে।
জানা গেছে, ভেড়ামারার স্বেচ্ছসেবক দলের সদস্য সচিব কথিত অস্ত্র ব্যবসায়ী সোহাগ। গতকাল তিনি ফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র, খুন ও নাশকতা মামলাগুলো রাজনৈতিক। আমি অস্ত্র ব্যবসায়ী নই। রাজনৈতিক এক নেতার বিরুদ্ধে মামলা করায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা স্বাধীন হলেও পুলিশ সুপার, সার্কেল অফিসার ও সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ওসি সুপারভাইজরি অথারিটি। বিষয়টি খতিয়ে দেখব।