নীলফামারীতে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুন লেগে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। আজ দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এতে দগ্ধ হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ওই তরুণীর আরেক বোন।

এর আগে আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে নীলফামারী সদরের উত্তরা ইপিজেড মোড়ের হাজিপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণীর নাম সুইটি আখতার (২২)। এ দুর্ঘটনায় তাঁর ছোট বোন তাজনিমা আখতার (২০) দগ্ধ হয়েছেন। তাঁরা নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণ চওড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। তবে ইপিজেড এলাকায় একটি কারখানায় চাকরি করতেন তাঁরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ছয়টার দিকে রান্না করছিলেন সুইটি। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে দুই বোন দগ্ধ হন। স্থানীয় ব্যক্তিরা ঘরের দেয়াল ভেঙে তাঁদের উদ্ধার করে নীলফামারী সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে থেকে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক শাহীন শাহ বলেন, দুই বোনের শরীরের প্রায় ১০০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এর মধ্যে একজন আজ বেলা দেড়টার দিকে মারা যান। অন্যজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

আজ দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দগ্ধ দুই বোনের মা ফাতেমা বেগম হাউমাউ করে কাঁদছেন। সেখানেই কথা হয় দুই বোনের সহকর্মী সাজু শেখের সঙ্গে। সাজু প্রথম বলেন, সুইটি-তাজনিমারা তিন বোন ও এক ভাই। বড় ভাইয়ের মানসিক সমস্যা আছে। সুইটি চাকরি করে পড়ালেখার পাশাপাশি পরিবার চালাতেন। দুই মাস আগেই সেখানে কাজ করতে গিয়েছিলেন ছোট বোন তাজনিমা। একসঙ্গে পড়াশোনা করতেন দুইবোন। তাঁদের অনেক স্বপ্ন ছিল। আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেল।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ