আজ ঢাকা আসছেন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
Published: 4th, May 2025 GMT
দু’দিনের সফরে আজ ঢাকা আসছেন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি। অবৈধ অভিবাসী ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচার প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা, পুলিশ ও বিজিবিকে প্রশিক্ষণ এবং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক উন্নয়নমূলক বিষয় আলোচনায় আসতে পারে।
ঢাকা সফরে এসে প্রথম দিন আজ বিকেলে বাংলাদেশ ও ইতালির স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে প্রবাসীকল্যাণ ভবনে উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। মাত্তেও পিয়ান্তেদোসির সৌজন্যে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তাতে যোগ দেবেন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে পাড়ি দিচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি নাগরিক। ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে অনেক বাংলাদেশি মারাও যাচ্ছেন। সে কারণে বাংলাদেশ থেকে বৈধপথে ইতালি যাওয়ার জন্য দেশটির পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে নিয়মিত ও বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে।
এ ছাড়া ইতালিতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের অনেক কর্মী ভিসা পেতে অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পরও ভিসা পাচ্ছেন না। ইতালির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনেক বাংলাদেশি ইতালি যাওয়ার জন্য যে ভিসা আবেদন করেছেন, সেখানে তারা ভুয়া নথিপত্র জমা দিয়েছেন। সে কারণে অধিকতর যাচাই-বাছাই করার জন্য ভিসা দিতে দেরি হচ্ছে। তবে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ভিসা ইস্যু নিয়ে আলোচনা উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত বছর ইতালির মন্ত্রিপরিষদের তৈরি করে ‘নিরাপদ দেশের’ তালিকা। সেখানে ১৭ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। ইতালির অভিবাসন আইন ২০০৮-এর ২৮ নম্বর ধারার ২৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ-সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গেজেটে থাকা এসব ‘নিরাপদ দেশের’ নাগরিকদের মধ্যে যারা অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করবেন, তাদের থাকার অনুমতি না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র মন ত র উপদ ষ ট স জন য র জন য করব ন র সফর
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশ থেকে ফেরার সময় বিনা শুল্কে মোবাইল, ল্যাপটপ, ফ্রিজ-টিভিসহ ১৯টি পণ্য আনতে পারবেন
বিদেশ থেকে আসার সময় যাত্রীরা নিজের ছেলেমেয়ে, স্ত্রী, মা-বাবাসহ আত্মীয়স্বজনের জন্য নানা ধরনের উপহারসামগ্রী আনেন। আবার গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও নিয়ে আসেন তাঁরা। এ জন্য সরকার ব্যাগেজ রুল সুবিধা দেয়।
১৯ ধরনের পণ্য বিনা শুল্কে এবং ১১ ধরনের পণ্য শুল্ক–কর পরিশোধ করে আনা যায়। এ জন্য কোনো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে না। ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে ফেরার সময় আনা যাবে ওই সব পণ্য।
সরকার দু-এক বছর পর পর ব্যাগেজ রুলে পরিবর্তন আনে। এবারের বাজেটেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বিনা শুল্কে যা আনা যাবে১২ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সী একজন যাত্রী ৬৫ কেজি ওজনের ব্যাগেজ শুল্ক-কর ছাড়া খালাস করতে পারবেন। তবে ১২ বছরের নিচের বয়সী যাত্রী ৪০ কেজি ব্যাগেজ বিনা শুল্কে খালাস করতে পারবে।
বিনা শুল্কে যে ১৯ ধরনের পণ্য আনা যাবে। এ পণ্যের তালিকায় আছে দুটি ব্যবহৃত মুঠোফোন; একটি নতুন মোবাইল ফোন; ১৫ বর্গমিটার আয়তনবিশিষ্ট কার্পেট; ২৯ ইঞ্চি পর্যন্ত টেলিভিশন; ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ; কম্পিউটার স্ক্যানার; প্রিন্টার; ভিডিও ক্যামেরা; স্টিল বা ডিজিটাল ক্যামেরা; ওভেন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন; রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, গ্যাস ওভেন; টোস্টার, স্যান্ডউইচ মেকার, ব্লেন্ডার, ফুড প্রসেসর, জুসার, কফি মেকার; সেলাই মেশিন; টেবিল ফ্যান; ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য খেলার সামগ্রী; ১০০ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না; এক কার্টন সিগারেট; সিডি ও স্পিকারসহ মিউজিক সিস্টেম।
শুল্ক-কর পরিশোধ করে যে ১১ ধরনের পণ্য আনা যাবে। এগুলো হলো ১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার। এ জন্য ৪০ হাজার টাকা শুল্ক-কর দিতে হবে। এ ছাড়া ২৩৪ গ্রাম বা ২০ তোলা রৌপ্যবার; ৩০ ইঞ্চি ও তদূর্ধ্ব টেলিভিশন; হোম থিয়েটার; রেফ্রিজারেটর ও ডিপ ফ্রিজার; এয়ারকন্ডিশনার; ডিশ অ্যানটেনা; এইচডি ক্যামেরা; ঝাড়বাতি; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে এয়ারগান; ডিশওয়াশার বা ওয়াশিং মেশিন বা ক্লথ ড্রায়ার আনা যাবে। এসব পণ্যে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হয়।
এবার যত পরিবর্তনএবারের বাজেটে বিদেশ থেকে ফেরার সময় বছরে একবার সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম ওজনের একটি করে সোনার বার আনতে পারবেন। সোনার বার আনার ক্ষেত্রে প্রতি ভরিতে (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) শুল্ক ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগে একজন যাত্রী বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময় যতবার খুশি ততবার ১০০ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না বিনা শুল্কে আনতে পারতেন। এখন থেকে একজন যাত্রী বছরে মোট ১০০ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না বিনা শুল্কে আনতে পারবেন। বিদেশফেরত একজন যাত্রী দুটি ব্যবহৃত মুঠোফোন ও প্রতিবছর একবারই একটি নতুন মুঠোফোন শুল্ক-কর পরিশোধ ছাড়া আনতে পারবেন।