ভূমি অফিসে সাধারণ মানুষের হয়রানি এখন এক নিত্যদিনের বাস্তবতা। খতিয়ান সংগ্রহ, নামজারি, খারিজ, হোল্ডিং নম্বর সংশোধন কিংবা জমির উন্নয়ন কর দিতে গেলেই দেখা দেয় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা।
মানুষের সহজলভ্য অধিকারটুকু পেতে হয় দীর্ঘ অপেক্ষা, অনিশ্চয়তা ও অশোভন ব্যবহারের মুখোমুখি হয়ে। মাঠপর্যায়ের অনেক ভূমি অফিসে কর্মকর্তাদের অবহেলা, অযথা বারবার ঘোরানো, জটিল কাগজপত্রের অজুহাতে হয়রানি ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এর সঙ্গে আরও ভয়ানক বাস্তবতা হলো দালালদের দাপট। ভূমি অফিসের আশপাশে গড়ে ওঠা এসব দালাল চক্র অফিসের ভেতরের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা আদায় করছে।
চক্রটি বিশেষ করে গরিব, অশিক্ষিত ও প্রান্তিক মানুষদের টার্গেট করে। অনেকে জমির প্রকৃত মালিক হয়েও সেবা না পেয়ে দালালের দ্বারস্থ হন, এতে যেমন হয় অর্থের অপচয়, তেমনি অনেক সময় ভুল ও জাল কাগজপত্র তৈরি হয় জমি নিয়ে আইনি জটিলতা।
এই পরিস্থিতিতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে জনগণের ভোগান্তি আরও বাড়বে এবং রাষ্ট্রীয় সেবার প্রতি মানুষের আস্থা চরমভাবে ক্ষুণ্ন হবে। তাই ভূমিসেবাকে জনবান্ধব, দুর্নীতিমুক্ত ও ডিজিটাল সেবার আওতায় এনে ভূমিসেবা ব্যবস্থাকে একটি নৈতিক ও টেকসই সংস্কার করতে ভূমি অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রজ্ঞা দাস
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ
ইডেন মহিলা কলেজ
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।
সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।
নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত