যোগাসন ও পিলাটিস এই সময়ের জনপ্রিয় দুই শরীরচর্চার পদ্ধতি। তারকা থেকে সাধারণ মানুষ নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে অনেকেই এই দুটি পদ্ধতির যেকোনো একটির দিকে ঝুঁকছেন। অনেকে আবার দুটি পদ্ধতির চর্চা করছেন সমন্বয় করে। তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে, পিলাটিস না যোগাসন, শরীরের জন্য কোনটি বেশি কার্যকর? বা কোনটিতে বেশি উপকার?

যোগাসন

নিয়মিত যোগাসন করলে শরীর নীরোগ থাকে। এটি এমন এক শরীরচর্চা, যার কোনো নেতিবাচক দিক নেই। প্রয়োজন হয় না কোনো যন্ত্রপাতিরও। যেকোনো বয়সে যে কেউ যোগাসন শুরু করতে পারেন। জিমে গিয়ে যাঁরা শরীরচর্চার সময় পান না, তাঁদের জন্য যোগাসন আদর্শ। শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে যোগাসন বেশ কার্যকর। এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চেহারায় যে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে, তা প্রতিরোধের জন্যও যোগাসনে রয়েছে বিভিন্ন আসন। ঋতু পরিবর্তনে যে রোগগুলো শরীরে হানা দেয়, নিয়মিত যোগচর্চায় সেসব থেকেও মিলবে মুক্তি।

শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে যোগাসন বেশ কার্যকর.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যা: গ্রেপ্তার তামিমের মাদারীপুরের বাড়িতে আগুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যর হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তামিম হাওলাদারের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা তামিমের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

গ্রেপ্তার তামিম হাওলাদার (৩০) মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী এলাকার এরশাদ হাওলাদারের ছেলে। আলোচিত এ হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার বাকি দুজনের বাড়িও মাদারীপুরে। তারা হলেন ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামের পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রামের সম্রাট মল্লিক (২৮)।

ডাসার উপজেলা ছাত্রদলের এক নেতা জানান, সম্রাটকে শ্রমিক দলের পদে রাখা হয়েছিল বিগত কমিটিতে। সম্রাট বিভিন্ন সময় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। এছাড়া পলাশ ও তামিম দুজনেই ঢাকায় ফুটপাতে ব্যবসা করতো। তাদের পরিবারে তেমন স্বচ্ছলতা নেই। রাজনৈতিক তেমন কোনো পরিচয় নেই। তবে স্থানীয় রাজনীতির পক্ষ সমর্থন করে বলে জানা যায়। 

স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার পরে হঠাৎ কিছু লোকজন এসে বাড়িঘরে হামলা চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়। 

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিলুর রহমান বলেন, তামিমের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত আছে। 

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এফ রহমান হলের ছাত্র শাহারিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ