বরিশালের আগৈলঝাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হিজড়াদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত চারজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে বাকাল ও রাজিহার ইউনিয়নে বিয়ে, খৎনা ও শিশুর জন্ম হলে সংশ্লিষ্ট পরিবার থেকে টাকা তোলে রিনা হিজড়ার দল। অন্যদিকে রত্নপুর, বাগধা ও গৈলা ইউনিয়নে টাকা তোলে পায়েল হিজড়ার দল। আজ সকালে বাকাল ইউনিয়নের গোবিন্দ মন্দির এলাকায় পায়েল হিজড়ার দল টাকা তুলতে গেলে রিনা হিজড়ার দল বাধা দেয়। এ সময় বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ। স্থানীয়রা সংঘর্ষে আহত রিনা, শাহীনুর, ফিরকী ও শাহনাজকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

পায়েল হিজড়ার ভাষ্য, আগে উপজেলার হিজড়া দলগুলোর মধ্যে টাকা তোলার অঞ্চল ভাগ করা থাকলেও গত ৫ আগস্টের পর সেটা কেউ মানছে না। তারা একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে রিনা হিজড়ার দল তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা বাদ্যযন্ত্র কেড়ে নিয়েছে তারা। 

আহত রিনা হিজড়া জানান, উপজেলার বাকাল ইউনিয়ন তার দলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা। এখানে পায়েল হিজড়ার দল টাকা তুলতে আসায় তারা বাধা দেন। এ কারণে পায়েল হিজড়ার লোকজন তাদের ওপর হামলা চালান। এ ঘটনায় তারা থানায় অভিযোগ দেবেন।

আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অলিউল ইসলাম বলেন, দুই দল হিজড়ার মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা থেকে উপপরিদর্শক সোহরাফ হোসেনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল স ঘর ষ উপজ ল র স ঘর ষ এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

শুক্রবার জুমার পর জবি শিক্ষার্থীদের গণঅনশন

শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে শুক্রবার জুমার নামজের পর জবি শিক্ষার্থীদের গণঅনশন ঘোষণা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে ‘জবি ঐক্যের’ পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন এ ঘোষণা দেন।

অধ্যাপক ড.রইছ উদ্দীন বলেন, আমরা সরকারের নিকট আমাদের অধিকার আদায়ের দাবি জানিয়েছিলাম। তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়েছে। কিন্তু আমাদের অধিকারের বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি। এমনকি ৩৫ ঘণ্টা পার হলেও কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি প্রশাসন। সরকার থেকে কোন বার্তা আসেনি। 

তিনি বলেন, দাবি আদায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাল জুমার পরে গণঅনশন শুরু করবে। এতে সকল সাবেক ও বর্তমান জবিয়ানদের অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিন শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে আন্দোলন স্থলে শুরু হবে জবিয়ান সমাবেশ। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে পুলিশ কর্তৃক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস পালনের ঘোষণা দেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ