উলিপুর উপজেলা বিএনপির কমিটিতে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’, প্রতিবাদে চারজনের পদত্যাগ
Published: 16th, May 2025 GMT
ছবি: প্রথম আলো
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় ঐক্যমত তৈরির পেছনে ষড়যন্ত্র চলছে: মিয়া গোলাম পরওয়ার
জাতীয় ঐক্যমত তৈরির পেছনে কঠিন ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, রাষ্ট্রের সংস্কারের জন্য এবং জাতীয় ঐক্যমত তৈরি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সেই উদ্যোগে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়ে সমর্থন জানালেও একটি দল বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। ফলে জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টিতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি নিজের ও দলীয় স্বার্থ পরিহার করে জাতীয় স্বার্থে ত্যাগ স্বীকার করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের কাউন্সিল হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের সাংগঠনিক থানা ও বিভাগীয় দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কেউ একক কর্তৃত্ব কায়েম করতে পারবে না উল্লেখ করে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালিত হওয়ার ফলে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও মানুষকে তার অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে হচ্ছে। কারণ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ক্ষমতাসীনদের ফ্যাসিবাদী করে তোলে। কিন্তু এই ব্যবস্থায় (পিআর) ভোট ডাকাতির কোনো সুযোগ নেই। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের প্রকৃত মূল্যায়ন হয়। এজন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সর্বোত্তম পদ্ধতি।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, চব্বিশের ছাত্র জনতা একক কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ফ্যাসিবাদের হাত থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে দুই সহস্রাধিক ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। ৫০ হাজারের অধিক আহত-পঙ্গু হয়েছে। ছাত্র-জনতা যেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে সেই বৈষম্য আবার সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। বৈষম্য সৃষ্টির উৎপত্তি স্থল হচ্ছে একক কর্তৃত্ব। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র জাতিকে উপহার দেবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি জাতিকে দিয়েছে। তবে কোনো কোনো দলের কর্মকাণ্ডে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হলে একদিকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতার প্রমাণ হবে, অপরদিকে জনপ্রতিনিধিত্ববিহীন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার দুর্ভোগ লাঘব হবে। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে জনপ্রতিনিধি না থাকায় স্থানীয় সরকারের সকল ক্ষমতা ডিসি-ইউএনওদের হাতে। ফলে জনগণকে আমলাদের কাছে গিয়ে দাঁড়াতে হয়। জনপ্রতিনিধি না থাকার সুযোগে স্থানীয় সরকারের সব স্তরে চলছে দুর্নীতি মহোৎসব। তাই জামায়াতে ইসলামী; রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, গণহত্যার বিচারের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আবু মুসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে দেলাওয়ার হোসেন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান, মুহাম্মদ শামছুর রহমান, মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মাহফুজুর রহমান, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ।