উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনে একটি যাত্রীবাহী বাসে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় নয়জন নিহত হয়েছেন। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে, শনিবার (১৭ মে) সকালে বিলোপিলিয়া শহরে রাশিয়ার এই হামলায় আরো চারজন আহত হয়েছেন। চিকিৎসক, জরুরি পরিষেবা কর্মী এবং পুলিশ এখন ঘটনাস্থলে কাজ করছে।

২০২২ সালের পর, রাশিয়া এবং ইউক্রেন গতকাল শুক্রবার তুরস্কে তাদের প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই এই হামলার খবর পাওয়া গেল।

আরো পড়ুন:

তুরস্কে শান্তি আলোচনায় থাকছেন না পুতিন-ট্রাম্প

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে তুরস্ক যাচ্ছেন জেলেনস্কি

সুমি আঞ্চলিক প্রশাসন টেলিগ্রামে একটি পোস্টে বলেছে, “বিলোপিলিয়ার কাছে একটি যাত্রীবাহী বাসে শত্রু ড্রোনের আঘাতে নয়জন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছে।”

এতে আরো বলা হয়েছে, বাসটি আঞ্চলিক রাজধানী সুমির দিকে যাচ্ছিল।

সুমি আঞ্চলিক প্রধান ওলেহ হ্রাইহোরভ একটি ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার আক্রমণকে ‘অমানবিক’ বলে বর্ণনা করেছেন।

প্রাথমিক তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেছেন, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ১৭ মিনিটের দিকে বাসটিতে রাশিয়ান ল্যানসেট ড্রোন আঘাত হানে।

রাশিয়ার সামরিক বাহিনী এই বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

বিবিসি বলছে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শুক্রবারের আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি, কারণ ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের অবসান কীভাবে করবে তা নিয়ে এখনও অনেক দূরে রয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন ইউক র ন ত রস ক

এছাড়াও পড়ুন:

সেই তরুণকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাবা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় আসামি মো. লিখন হোসেনকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর তাকে তার বাবা পুলিশের হাতে তুলে দেন। গত ৩০ এপ্রিল বিদ্যালয়ের টিফিন বিরতিতে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান। 

গ্রেপ্তার লিখনের বাবা বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে পুলিশের ডাকে সাড়া দিয়ে ছেলেকে থানায় সোপর্দ করেছি। আমার ছেলে অপরাধ করেনি। সে মনোবল থেকেই আশা রাখি, লিখন আদালতের বিচারে ছাড়া পাবে।’

মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বিয়ে ও কুপ্রস্তাব প্রস্তাব দিলেও তাতে রাজি হয়নি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪)। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয় চলাকালে শৌচাগারে ডেকে নিয়ে লিখন নামের তরুণ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। 

এ ঘটনায় সমকালসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. শিমুল হোসেন মোবাইল ফোনে লিখনের বাবার সঙ্গে কথা কলেন। তিনি ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে বলেন। পরে বাবা কয়েকজন স্বজনকে নিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানায় এসে ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মায়ের গত ১ মে করা লিখিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় একই শুক্রবার রাতেই মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এ মামলার একমাত্র আসামি লিখন হোসেন। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শিমুল হোসেন জানান, আসামি লিখনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গ্রামের এক প্রভাবশালী সালিশের নামে একাধিকবার বসেও সুরাহা করেননি। তাদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ক্লাসে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় মেয়েটির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ