১৪ দলীয় জোটের অপর দলগুলোর কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ নিতে নোটিশ
Published: 18th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের পর এবার ১৪-দলীয় জোটের অপর দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইনসচিব এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বরাবর আজ রোরবার ওই নোটিশ পাঠানো হয়।
লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা হোসাইন মো.
নোটিশের ভাষ্য, ৭৫ বছর বয়সী আওয়ামী লীগ ৩৬ দিনের আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ শাসনামলের সহযোগী হিসেবে ১৪ দল একই অপরাধ করেছে অভিযোগ করে নোটিশে বলা হয়, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে অপর দলগুলো কেন নয়?
আওয়ামী লীগসহ ১৪–দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর তালিকা নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। দলগুলো হচ্ছে জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), ওয়ার্কার্স পার্টি (রাশেদ খান মেনন), গণতন্ত্রী পার্টি (নুরুর রহমান সেলিম), গণ আজাদী লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল—বাসদ (রেজাউর), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (দিলীপ বড়ুয়া), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি—ন্যাপ (মোজাফফর), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদ (ইনু), শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল, তরিকত ফেডারেশন ও কমিউনিস্ট কেন্দ্র।
পরে আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন রিগ্যান প্রথম আলোকে বলেন, ১৪–দলীয় জোটের শরিক অপর দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আজ আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশের জবাব না পেলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন নোটিশদাতা।
এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ১২ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অপর দলগ ল দলগ ল র স গঠন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
মিল্টন সমাদ্দার ও তাঁর স্ত্রী কারাগারে
আশ্রয়কেন্দ্র ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’–এর প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দার ও তাঁর স্ত্রী মিঠু হালদারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মিরপুর থানায় করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ শনিবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিল্টন সমাদ্দারের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান।
আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, মিরপুর থানায় করা মামলায় মিল্টন সমাদ্দার ও তাঁর স্ত্রী মিঠু হালদার জামিনে ছিলেন। ৫ মে মিল্টনের মা মারা যান। পরে সেদিন তিনি সস্ত্রীক গ্রামের বাড়ি বরিশালে চলে যান। পরদিন ৬ মে মামলার শুনানির দিন তাঁরা আদালতে হাজির হতে পারেননি। সেদিন আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু হাজির না থাকায় আদালত মিল্টন সমাদ্দার ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আজ তাঁরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করেন।
আরও পড়ুনমৃত্যুসনদ জাল করার অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মামলা০২ মে ২০২৪মারধর করার অভিযোগ এনে গত বছরের ২ মে মিল্টন সমাদ্দার ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় মামলা করেন দারুস সালাম এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমান। মামলায় অভিযোগ করা হয়, মতিউর তিন বছর আগে মিরপুর-১ নম্বরের দক্ষিণ বিশিলে মোতালেব হোসেন নামের এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি এ ব্যাপারে দারুস সালাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ওই ব্যক্তিকে সুচিকিৎসা ও দেখভাল করার জন্য মিল্টন সমাদ্দারের প্রতিষ্ঠানে দেন।
আরও পড়ুনমিল্টনের আশ্রম থেকে উদ্ধার সেলিমকে সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করাতে চায় পরিবার১২ মে ২০২৪পরে মতিউর রহমান খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন, মিল্টন সমাদ্দার ওই ব্যক্তিকে তাঁর স্বজনদের কাছে দিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে ওই আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে মিল্টন ও তাঁর সহযোগীরা মতিউর ও তাঁর দুই বন্ধুকে লাঠিপেটা করে আহত করেন। তাঁরা তাঁর কাছে থাকা জিডির কপি ও মোতালেবের বিষয়ে আশ্রয়কেন্দ্রটি থেকে যে কাগজ দেওয়া হয়েছিল, তা ছিনিয়ে নেন। পাশাপাশি মিল্টন ও তাঁর সহযোগীরা মতিউরদের মুঠোফোন থেকে মারধরের ভিডিও মুছে ফেলেন এবং সাদা কাগজে তাঁদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মে মাসে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মিল্টন সমাদ্দার। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। জালিয়াতির মাধ্যমে চিকিৎসক সেজে মৃত্যুসনদ দেওয়াসহ নানা অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুনমিল্টনের অনেক ভয়াবহ-রোমহর্ষক ঘটনা আছে: হারুন অর রশীদ০৬ মে ২০২৪