বাহুবলে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৩
Published: 20th, May 2025 GMT
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় যাত্রীবাহী দুই বাসের সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
নিহত দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সুলতান উদ্দিনের ছেলে তৌকির হাসান ও কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে আবুল কালাম।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি এটিএম মাহমুদুল হক এ তথ্য জানান।
ওসি মাহমুদুল হক বলেন, ‘‘সোমবার দুপুর আড়াইটায় ভারী বর্ষণের সময় সিলেট থেকে ঢাকামুখী রিয়েল কোচ সার্ভিসের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীতমুখী আল মোবারাকা পরিবহনের বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আবুল কালামসহ দুইজন মারা যায়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে থানা পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করে এবং আহতদের ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তৌকিরকে মৃত ঘোষণা করেছেন। ’’
এদিকে, ঘটনাস্থলে মারা যাওয়া দু’জনের মরদেহ হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত আবুল হোসেন ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি দুটি বাসের চালক ছিলেন এবং তৌকির তার এলাকায় ফটোকপির ব্যবসা করতেন।
আহতদের হবিগঞ্জ ও সিলেটের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/মামুন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।