আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার পাজকে ফিরিয়ে আনছে রিয়াল
Published: 20th, May 2025 GMT
রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের ছেলে নিকো পাজ। আর্জেন্টাইন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার গত মৌসুমে লস ব্লাঙ্কোসদের জার্সিতে ৮ ম্যাচ খেলে একটি গোলও করেন। তবে চলতি মৌসুমের শুরুতে তাকে ধারে ইতালির ক্লাব কোমোয় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সেখানে দারুণ মৌসুমে কাটিয়েছেন পাজ। সেস ফ্যাবরেগাসের অধীনে মৌসুমে ৩৩ ম্যাচ খেলে ৬ গোল করেছেন তিনি। প্রতিভাবান এই ২০ বছর বয়সী মিডফিল্ডারকে তাই রিয়াল মাদ্রিদ পুনরায় ঘরে ফিরিয়ে আনার চিন্তা করছে।
স্পেনের সংবাদ মাধ্যমের বরাতে ফুটবল দলবদল বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক ফ্যাবরিজিও রোমানো দাবি করেছেন, নিকো পাজকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি রিয়াল মাদ্রিদ বোর্ডের বিবেচনায় আছে। কোমোয় তিনি ধারে থাকলেও তাকে ফিরিয়ে আনতে ৮ মিলিয়ন ইউরো শোধ করতে হবে ব্লাঙ্কোসদের। ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের বোর্ডের ওই শর্তে কোন আপত্তি নেই।
নিকো পাজের জন্ম স্পেনে। মাত্র ১১ বছর বয়সে রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ দল লা ফ্যাবরিকায় যোগ দেন তিনি। ২০২২ মৌসুমে রিয়াল ক্যাস্তেলায় জাগয়া পান পাজ। সেখানে ৪৯ ম্যাচ খেলে ১১ গোল করার পর রিয়াল মাদ্রিদের মূল দলে জায়গা মেলে তার।
পাজ এরই মধ্যে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। আলবিসেলেস্তে কোচ লিওনেল স্কালোনি তাকে ম্যাক অ্যালিস্টারের বিকল্প মিডফিল্ডার মনে করেন। আর্জেন্টিনার ঘোষিত জুনের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের প্রাথমিক দলেও জায়গা পেয়েছেন এই তরুণ মিডফিল্ডার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল আর জ ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য বললেন প্রধান উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর শুল্ক হার কমে আসায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য’।
প্রধান উপদেষ্টা আজ শুক্রবার এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, শুল্কহার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকেরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আলোচকেরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরও শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।’