গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার আওয়ামী লীগপন্থি ৬ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২১ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদের হল রুমে উপজেলা কমিটির মাসিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভা শেষে তাদের আটক করা হয়।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
চাঁদাবাজির অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক দুই নেতা আটক
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই ডাকাত দলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১
এর আগে, উপজেলা কমিটির মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা চলাকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের সমর্থক চেয়ারম্যানদের আটক করে বিচার দাবিতে পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ করে বিএনপি নেতাকর্মী, সমর্থক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
আটককৃতরা হলেন- ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা সালু, উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল পাশা, গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেস আলম খুশু, ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী মন্ডল। এসময় উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলামিন আহম্মেদ কৌশলে পালিয়ে যান।
এলাকাবাসী জানান, আটককৃতরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।
ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাদিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের সাত ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। আসন্ন ঈদুল আজহার পর আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে বলে তারা প্রচার করছিলেন।”
তিনি বলেন, “এসব খবরে বিএনপির কর্মী, সমর্থক ও স্থানীয় জনগণ উপজেলা কমিটির মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভা চলাকালীন তাদের আটকের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে ফুলছড়ি থানা পুলিশ ছয় ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে। এসময় পালিয়ে যান উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলামিন আহম্মেদ।”
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, “নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ফুলছড়ি থানা পুলিশ ছয় ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে সদর থানায় হস্তান্তর করেছে। সেখানকার ওসির সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক আওয় ম ল গ দ র আটক কম ট র আওয় ম উপজ ল ফ লছড় ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
যৌথবাহিনী বন্ধ করল জনতার বাজার, তাৎক্ষণিক জমে উঠল মেলার বাজার
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের জনতার বাজারে পশুরহাট শনিবার বসতে দেয়নি আইনশৃংখলা বাহিনী। জনতার বাজার বন্ধ ঘোষণার পরপরই বাজার রক্ষার জন্য ‘দিনারপুর পরগনাবাসী’ ব্যানারে একটি মানববন্ধন করা হয়।
জনতার বাজার বন্ধ হয়ে গেলে হাজীগঞ্জ মেলার বাজারে তাৎক্ষণিক বসানো হয় গরুর হাট। জনতার বাজার থেকে ওই বাজারটি ৫০০ থেকে ১ হাজার ফুট দূরে।
শনিবার সকালে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের বিশেষ টিম জনতার বাজারের আশপাশে অবস্থান নেয়। এই বাজারে আসা লোকজন ও ব্যবসায়ীদের গরু নিয়ে বাজার ত্যাগ করার জন্য মাইকিং করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে বিপাকে পড়েন বাজারে আসা হাজারো গরু ব্যবসায়ী। পরে তারা নিরূপায় হয়ে পাশের হাজীগঞ্জ মেলার বাজারে গরু নিয়ে ওঠেন। মুহুর্তের মধ্যে সেখানে কয়েক হাজার গরু জমায়েত হলে পুরো বাজারটি জমে ওঠে।
জনতার বাজার পরিচালনা কমিটি বলছে, আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রশাসন তাদের বাজার বন্ধ করে দিয়েছে এই অভিযোগে দিনারপুর পরগনাবাসী নামে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জনতার বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী তোফায়েল আহমদ। সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম। বক্তব্য দেন ডা. আবুল কালাম আজাদ, আব্দুশ শহীদ, আব্দুর রশিদ, ময়না মিয়া, কাজী জাহিদ আহমদ, সাবেক মেম্বার স্বপন মিয়া প্রমুখ।
জানা গেছে, ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফরিদুর রহমান হাটটিকে অবৈধ ঘোষণা করে ৩১ জানুয়ারির পর হাট বন্ধের নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে মাইকিং ও নোটিশও টাঙানো হয়। নির্দেশনায় উল্লেখ ছিল, মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি বা অনুমোদনহীন হাট পরিচালনা করলে হাট-বাজার আইন ২০২৩ এবং মহাসড়ক আইন ২০২১ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হবে। তবে এসব নির্দেশনার বিরুদ্ধে জনতার বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী তোফায়েল আহমদ হাইকোর্টে রিট করেন। তখন জেলা প্রশাসনের আদেশ হাইকোর্ট স্থগিত করে রুল জারি করেন। এর পর থেকে বাজারটি থেকে কোনো রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে না। ফলে বাজার পরিচালনা কমিটি প্রত্যয়নপত্রের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করছে।