নির্বাচনের রোডম্যাপ চাই, দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন ছেড়ে যাব না
Published: 21st, May 2025 GMT
‘মেয়র হওয়াই মূল লক্ষ্য নয়, পদ পেতে এ আন্দোলন না’ এ মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন। বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। পরে বিএনপির এই তরুণ নেতা তার সমর্থকদের সঙ্গে যমুনার সামনে সড়কে বসে পড়েন। এর আগে বুধবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরাসরি রাজপথে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একটা পদ নিয়েই তারা যা করলো, নির্বাচনে তারা কী করবে তা বোঝাই যাচ্ছে।’ অন্তর্বর্তী সরকারকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্নের আহ্বান জানান বিএনপির এ তরুণ নেতা।
ইশরাক বলেন, ‘নতুন একটি দল নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু সরকারের দু’জন উপদেষ্টা মদদ দিচ্ছেন, যেন বিএনপি নির্বাচনে আসতে না পারে, নির্বাচন করতে না পারে। এ অবস্থায় আসিফ মাহমুদকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। আরেক উপদেষ্টাকেও পদত্যাগ করতে হবে।’
এ উপদেষ্টাদের পদত্যাগ করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা পদত্যাগ করে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করুক। এই সরকারের মধ্যে কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না।’
তিনি বলেন, কোনোদিনও শপথ নেওয়ার উদ্দেশ্য আমার ছিল না। আমার প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে, রায় পেয়েও আমি বসতে পারিনি। তাই এটা কোনো একজনের পদের আন্দোলন নয়, জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন।
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চাই। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন ছেড়ে কেউ যাব না।’
নির্বাচন কমিশনকে জিম্মি করা হচ্ছে উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, এটার রায় মেনে নিতে হবে।
ইশরাকের মতে, নির্বাচন কমিশনকে জিম্মি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে কি এই ইসি নিরপেক্ষতা রাখতে পারবে? আমরা আরেকটা স্বৈরাচারের জন্ম এই বাংলার মাটিতে হতে দেব না।
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি হয়, তবে যেকোনো সময় শেখ হাসিনার পরিণতির মতো উচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইশর ক হ স ন ব এনপ উপদ ষ ট ইশর ক সরক র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
আরো পড়ুন:
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়
এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।
তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।
আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।
এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।
ঢাকা/আমিনুল