জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের বিষপান
Published: 25th, May 2025 GMT
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার চারজন বিষ পান করেছেন। তাঁরা এখন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকদের সূত্রগুলো জানিয়েছেন, তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে তাঁরা কেন বিষ পান করেছেন, তা জানা যায়নি।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট সূত্র জানিয়েছে, বিষ পান করা এই চারজন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ বেলা দুইটা থেকে আড়াইটার দিকে তাঁরা বিষ পান করেন। কর্তৃপক্ষ জানার পর চারজনকেই শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট সূত্র জানিয়েছে, জুলাই আন্দোলনে চোখে গুরুতর আঘাত পাওয়া ৫৫ জন এখনো ওই হাসপাতালে আছেন। তাঁদের মধ্যে চারজন আজ বিষ পান করেছেন। কিন্তু কেন বিষ পান করেছেন, বিষ তাঁরা কোথায় পেলেন, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। হাসপাতালের পরিচালক এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আহত ব্যক্তিদের অবস্থা জানতে চাইলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শফিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চারজনই এখন ঝুঁকিমুক্ত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ষ প ন কর ছ ন চ রজন
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাস-বিদ্যুৎ দিতে না পারলে সরকার কারখানা চালাক
প্রতিশ্রুতি দিয়েও শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে ব্যর্থতার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন বস্ত্র ও পোশাকশিল্প খাতের উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলছেন, সরকার যদি শিল্পে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে হাজার হাজার কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। তখন সরকার নিজেই এসব কারখানা চালাক, অথবা যেসব বিদেশিকে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হচ্ছে, তাদের হাতে এসব শিল্প তুলে দেওয়া হোক।
গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিটিএমএলইএর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই, বিসিআই এবং আইসিসি-বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক চেম্বারের প্রতিনিধিরা।
দেশে বেকার সংকট বৃদ্ধির কারণে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলন হয়েছিল। তারপরই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে– স্মরণ করিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, এ সরকারের দায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া। অথচ উল্টো শিল্প বন্ধ করা হচ্ছে; মানুষ নতুন করে বেকার হচ্ছে। একদিকে গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে কারখানা বন্ধ থাকবে; অন্যদিকে ব্যাংকে বেশি সুদ দিতে হবে। আবার এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলনে জাহাজীকরণও বন্ধ। এত কিছুর পর সময়মতো শ্রমিকদের বেতন-ভাতাও দিতে হবে। ব্যর্থ হলে মালিকদের গাড়ি-বাড়ি বিক্রি করে বেতন পরিশোধ করবে সরকার। এমনকি জেলে পাঠানোরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের বসিয়ে রেখে কীভাবে বেতন দেওয়া হবে?
বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘কভিড মহামারিকালেও শ্রমিকদের বেতন দিয়েছি। আন্দোলনের সময়েও কারখানা বন্ধ রেখে বেতন দিয়েছি। এখন আর পারছি না। নিয়মিত বিল দিচ্ছি, তবুও গ্যাস পাচ্ছি না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিটিএমএ পরিচালক রাজীব হায়দার, খোরশেদ আলম, বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী, বিটিটিএমএলইএর চেয়ারম্যান হোসেন মাহমুদ, একই সংগঠনের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন সোহেল, বিটিএমএ সহসভাপতি সালেউদ জামান খান, পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআইর সদস্য জাকির হোসেন নয়ন প্রমুখ।
তীব্র গ্যাস সংকট সমাধানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ, স্কয়ার টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী, বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল এবং বিটিএমএর সাবেক সভাপতি মতিন চৌধুরী।
মতিন চৌধুরী সমকালকে জানান, গ্যাস সংকটে দেশের কারখানাগুলোতে কী সংকট চলছে, তা জ্বালানি উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে। এতে যে রপ্তানি ব্যাহত হবে– সতর্ক করা হয়েছে সে বিষয়ে। উপদেষ্টা বাস্তব অবস্থা দেখতে সোমবার (আজ) ঢাকার অদূরে আশুলিয়া অঞ্চলে বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শনে যাবেন। এর পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।